বুলেট ট্রেন নেটওয়ার্ককে আরও ছড়িয়ে দিতে আরও সাত রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য রেলের হয়ে জমি অধিগ্রহণের কাজে নামছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা NHAI।
যে সাতটি রুটে হাইস্পিড রেল করিডর তৈরি হচ্ছে, সেগুলি হল-
১. দিল্লি থেকে বারাণসী। যে রুটের মধ্যে রয়েছে নয়ডা, আগ্রা এবং লখনউ
২. বারাণসী থেকে হাওড়া। এই রুটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত পাটনা।
৩. দিল্লি থেকে আহমেদাবাদ। রুটের মধ্যে থাকছে জয়পুর ও উদয়পুর।
৪. দিল্লি থেকে অমৃতসর। সেই রুটের মধ্যে আছে চণ্ডীগড়, লুধিয়ানা ও জলন্ধর।
৫. মুম্বই থেকে নাসিক হয়ে নাগপুর।
৬. মুম্বই থেকে হায়দরাবাদ। সেই রুটের মধ্যে থাকছে পুণে।
৭. চেন্নাই থেকে মাইসোর রুট। যার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু।
সূত্রের খবর, এই সাতটি রুটের জন্য শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করবে NHAI। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করির সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী ও আধিকারিকদের আলোচনায় বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ইনফ্রা সেক্টর গ্রুপ মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় রেলের হয়ে NHAI জমি অধিগ্রহণ করবে। চার সদস্যের কমিটি সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই কমিটি নির্ধারণ করবে কীভাবে জমি অধিগ্রহণ হবে এবং অধিগৃহীত জমির মূল্য কী হবে। সাতটি হাইস্পিড রেল রুটের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি শুরু করেছে ভারতীয় রেল।
রেলওয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন দুটি বিগ-টিকিট প্রোজেক্ট – পণ্যবাহী বা ফ্রেট করিডোর এবং বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ করোনা পরিস্থিতির জন্য থমকে নেই। এদিকে রেলের অন্যতম বৃহত্তম প্রোজেক্ট ৮১ হাজার কোটি টাকার ফ্রেট করিডোরের কাজ জোরকদমে চলছে। এই প্রকল্পে দুটি পৃথক লাইন থাকবে। ১,৮৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রথম লাইনটি পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে সোজা চলে যাবে কলকাতা এবং ১,৪৮৩ কিমি দীর্ঘ অপর লাইনটি দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই লাইনে শুধুমাত্র হাই ক্যাপাসিটি মালগাড়ি চলবে। ফলে সাধারণ লাইনের উপর চাপ কমবে।
Comments are closed.