প্রয়াত মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদ ইলিনা সেন, শেষদিন পর্যন্ত লড়েছেন ছত্তিসগঢ়ে আদিবাসীদের অধিকারের পক্ষে
প্রয়াত হলেন শিক্ষাবিদ এবং মানবাধিকার ইলিনা সেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।
মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ মৃত্যু হয় ইলিনা সেনের। সংগঠনের সদস্য রঞ্জিত শূর জানিয়েছেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন ইলিনা সেনের স্বামী ডাক্তার বিনায়ক সেন ও অন্যান্যরা।
ছত্তিসগঢ়ে আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে ইলিনা সেনের। ট্রেড ইউনিয়নের কাজও করেছেন। লিখেছেন, ইনসাইড ছত্তিসগঢ়: আ পলিটিকাল মেমোয়ার এবং সুখাভাসিন: দ্য মাইগ্রেন্ট ওম্যান অফ ছত্তিসগঢ় নামে দুটি বই। মহারাষ্ট্রের মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল হিন্দি ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক ইলিনা সেন দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিক মানুষের অধিকারের লড়াই লড়েছেন। সালওয়া জুড়ুমের বিরুদ্ধে ইলিনা সেনের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শক্তি যুগিয়েছিল আদিবাসীদের। খনি শ্রমিকদের মধ্যে অধিকারের লড়াই প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের বড়ো অংশ ব্যয় করেছিলেন এই মানবাধিকার কর্মী।
২০১০ সালে নিম্ন আদালত মাও যোগ তথা দেশদ্রোহের মামলায় ইলিনা সেনের স্বামী ডাক্তার বিনায়ক সেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করায় বদলে যায় রায়। শীর্ষ আদালত বলে, ডাক্তার বিনায়ক সেনের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। এই গোটা পর্যায়ে নাছোড় লড়াই লড়ছিলেন স্ত্রী ইলিনা। পাশাপাশি থেমে ছিল না আদিবাসীদের অধিকার দাবিতে লড়াই।
Comments are closed.