কেরলের ইদুক্কিতে কদিন আগেই ভয়ঙ্কর ধ্বস নামে। তছনছ হয়ে যায় অসংখ্য কিছু ঘর- বাড়ি। প্রাণ যায় ৬০ জনের। এই মৃতদের মধ্যে ছিলেন ‘কুভি’র মালিকও।
কে এই কুভি? এক বছর দু’মাস বয়সী একটি কুকুর। ধ্বস নামার পর তার মালিক ও পরিবারের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় সাত দিন অভুক্ত থেকে মালিকের অপেক্ষায় বসে থাকে সে। রেসকিউ সেন্টার থেকে যারা কাজ করছিলেন তারাও অনেক চেষ্টা করে কিছু খাওয়াতে পারেনি কুকুরটিকে। ডগ স্কোয়াডের বিদেশি কুকুর এনেও বহু মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি। সেখানে কাজে লেগে যায় এই কুভি।
মালিকের মৃত্যু শোক যেন সে কিছুতেই মানতে পারছিল না। সারাদিন সে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে তার মালিক দু’বছরের ধনুষ্কা ও তার পরিবারের লোকেদের দেহ খুঁজে গিয়েছে। অবশেষে আট দিনের মাথায় কুভিই প্রথম খুঁজে পায় মালিকের মৃতদেহ। একটা ব্রিজের তলায় পড়ে থাকতে দেখা যায় লাশ। এর পর পরিবারের বাকি সদস্যদের দেহও পাওয়া যায়। কুকুরের এই কাণ্ড দেখে সকলে অবাক। কুভির কাজে মুগ্ধ নেটদুনিয়া।
কিন্তু মালিক আর ফিরবে না ভেবে, সে একেবারেই খাওয়া ছেড়ে মনমরা হয়ে পড়ে থাকে। জানা যায়, ধনুষ্কা ও তার পরিবারই দেখভাল করত কুকুরটির। ধসে ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য ধনুষ্কার ঠাকুমা। কিন্তু তিনি কুভিকে আগলানোর অবস্থায় নেই। তাহলে কুভির কী হবে? উত্তর দিয়েছেন কেরল পুলিশের অফিসার অজিথ মাধবন। তিনি কুভিকে দত্তক নিচ্ছেন। অজিথ কেরল পুলিশের ডগ স্কোয়াডের ট্রেনারের দায়িত্বে আছেন। শুক্রবার ইদুক্কি প্রশাসনের তরফে অনুমতি মেলায় কুভি এখন থেকে তাঁর কাছেই থাকবে। কুভিকে ভালবেসে, ট্রেনিং দিলে সেও ডগ স্কোয়াডের অন্যান্য কুকুরদের মতোই তুখোড় হবে বলে আশাবাদী অজিত মাধবন। কুভিও পেল এক নতুন আশ্রয়।
Comments are closed.