করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে জিও৷ এবার কলকাতা টেলিকম সার্কেলে শীর্ষে রিলায়েন্স জিও৷ সবথেকে বেশি গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব উপার্জনের নিরিখে কলকাতা সার্কেলে মার্কেট লিডারের তকমা পেল মুকেশ আম্বানীর টেলিকম সংস্থা৷
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে ৪০ শতাংশ গ্রাহক শেয়ার নিয়ে নয়া মাইলস্টোন তৈরি করেছে জিও৷ অর্থাৎ, কলকাতা টেলিকম সার্কেলের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৪০ শতাংশ গ্রাহকই জিও উপভোক্তা। সংখ্যার হিসেবে কলকাতা সার্কেলের ২.৫৪ কোটি টেলিফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ১.০২ কোটি রিলায়েন্স জিও গ্রাহক!
এই রিপোর্টেই স্পষ্ট যে করোনা এবং লকডাউন কোনওভাবেই জিও-র ব্যবসায় প্রভাব ফেলতে পারেনি ৷ বরং পশ্চিমবঙ্গে আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পর দেখা গিয়েছে বহু গ্রাহক ইন্টারনেট নির্ভর ফোন পরিষেবা মাথায় রেখে জিও কানেকশন নিয়েছেন৷ আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে সবথেকে ভাল নেটওয়ার্ক পরিষেবা দিয়েছিল রিলায়েন্স জিও। ওই সময় নেটওয়ার্ক সমস্যায় জেরবার হয়ে ভোডাফোন-আইডিয়া এবং এয়ারটেল নিজেদের ৩.২ লক্ষ গ্রাহক হারায়। এই পরিস্থিতিতে জিও নেটওয়ার্কে যুক্ত হন প্রায় ১.১৪ লক্ষ নতুন গ্রাহক ৷
সর্বভারতীয় বাজারেও বিশাল লাভ করেছে জিও৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে আরও ৩৬ লক্ষ গ্রাহককে জিওতে নিয়ে এসেছে মুকেশ আম্বানীর সংস্থা৷ ট্রাইয়ের রিপোর্ট বলছে, লকডাউন পিরিয়ডে রিলায়েন্স জিও নিজেদের গ্রস রেভিনিউ শেয়ারের সঙ্গে সঙ্গে লাভের অঙ্কও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
Comments are closed.