২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে ধারাবাহিকভাবে কমছে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আত্মহত্যার তুলনা করে নয়া রিপোর্ট পেশ করল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা NCRB।
গত চারবছরে কৃষিক্ষেত্রে যুক্তদের আত্মহত্যা ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে বলে দাবি এনসিআরবির। সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে সারা দেশে ১১ হাজার ৩৭৯ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১০ হাজার ২৮১ জন।
তবে কৃষক ও দিনমজুরের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান খুঁজতে গেলে বড় ফারাক দেখা গিয়েছে। এনসিআরবির রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে জমি মালিক বা বড় কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে দিনমজুরদের আত্মহত্যার সংখ্যা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের তথ্য একসঙ্গে প্রকাশ করেছে এনসিআরবি। যেখানে ২০১৭ ও ‘১৮ সালের তথ্য বহু দেরিতে প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে ২০১৬ সালের কৃষক আত্মহত্যার তথ্য তিন বছর বিলম্বে প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত সেই রিপোর্টে কৃষক আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ঋণ ও খারাপ ফলনকে। সম্প্রতি প্রকাশিত এনসিআরবির তথ্য বলছে, ‘১৬ থেকে ‘১৮ সালের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষের আত্মহত্যা করার পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কিন্তু ২০১৯ সালে এককভাবে প্রায় ৩.৪ শতাংশ কৃষকের আত্মহত্যা বেড়েছে। জমির মালিক বা যাঁরা লিজে চাষ করতে জমি দেন, সেই বড় কৃষকদের আত্মহত্যা ২০১৬ থেকে ‘১৯ এর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এনসিআরবি ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে এই কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যাটা ছিল ৫ হাজার ১০৯ জন। সেটা ২০১৯ সালে হয় ৪ হাজার ৩২৪ জন।
এবার আসা যাক রাজ্যভিত্তিক কৃষক আত্মহত্যার পরিসংখ্যানে।
২০১৭ এবং ২০১৮ সালের এনসিআরবি ডেটায় রাজ্যভিত্তিক কৃষক মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশদে দেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালের ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যায় সবার উপরে মহারাষ্ট্র। সেখানে ২০১৯ সালে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া ৩,৯০০ কৃষকের মধ্যে ২,৬৮০ জন বা ৬৫ শতাংশই বড় চাষী। বাকি ৩৫ শতাংশ দিনমজুর নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন। এরপরে রয়েছে কর্ণাটক (১,৯৯২), অন্ধ্রপ্রদেশ (১,০২৯), মধ্যপ্রদেশ (৫৪১), তেলেঙ্গানা (৪৯৯) এবং পঞ্জাব (৩০২)।
Comments are closed.