করোনার ধাক্কায় ২০২১ সালে দারিদ্রের অন্ধকারে তলিয়ে যাবেন ১৫ কোটি মানুষ, তথ্য না দেওয়ায় ভারতকে নিয়ে উদ্বেগ বিশ্ব ব্যাঙ্কের
করোনা অতিমারির জেরে কোমর ভেঙেছে বিশ্ব অর্থনীতির। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ কোটি মানুষ তলিয়ে যাবেন চরম দারিদ্রের অন্ধকারে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গণতন্ত্র ভারতকে নিয়েও। কারণ দারিদ্রের উপর অতিমারির কোপ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই দেয়নি ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই তথ্য পেলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে।
বুধবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেখানে জানানো হয়েছে, এ বছরের মধ্যেই কোভিড ১৯ এর কারণে অতিরিক্ত সাড়ে ৮ কোটি থেকে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে তলিয়ে যাবেন। ২০২১ সালে তা দাঁড়াবে প্রায় ১৫ কোটি। এখানেই শেষ নয়। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বিপুল মানুষ মধ্যবিত্তের সিঁড়ি হড়কে দারিদ্রসীমায় ঢুকে পড়বেন। রিপোর্ট বলছে ২০২০ সালে গোটা বিশ্বের ৯.১ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নীচে চলে যাবেন। করোনা অতিমারি না এলে দারিদ্রের পরিমাণ কমে হওয়ার কথা ছিল ৭.৯।
তবে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মূল আশঙ্কার জায়গা ভারত। রিপোর্ট বলছে ভারত থেকে দারিদ্র সংক্রান্ত কোনও তথ্যই বিশ্ব ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। ফলে বিশ্বের সর্বাধিক গরিব মানুষ বসবাস করেন যে ভারতে, সেখানে বাস্তব পরিস্থিতি বা গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি সম্বন্ধে কোনও ধারণা করতে পারছে না বিশ্ব ব্যাঙ্ক। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের পরিস্থিতি যা তাতে তথ্য মিললে দারিদ্রের পরিমাণ ১৫ কোটি থেকে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এমনকী আমূল বদলে যেতে পারে গোটা চিত্রই।
এই পরিস্থিতিতে বিপুল জনসংখ্যার দারিদ্রের অন্ধকারের তলিয়ে যাওয়া রুখতে দেশগুলোকে নির্দিষ্ট আর্থিক নীতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানুষের রোজগার বাড়াতে সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার এটাই সময়।
Comments are closed.