২০০৬ সাল থেকে পরম্পরার আরম্ভ, গত বছর হঠাৎই তা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। বলিভিয়া থেকে আর্জেন্টিনায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সমাজতান্ত্রিক নেতা ইভো মোরালেস। বলিভিয়ার নির্বাচনের সর্বশেষ এক্জিট পোল বলছে, সেই মোরালেসের সোশালিস্টরাই বিপুল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন। এবার নেতার নাম একদা মোরাসেলের ডান হাত ৫৭ বছরের লুইস আরসি।
দক্ষিণপন্থীদের উড়িয়ে দিয়ে বলিভিয়ার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে সোশালিস্টরা। ১৯ অক্টোবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অবশ্য তেমনটাই দাবি। বলা হয়েছে, এক্জিট পোলের ফলাফল যদি অন্যরকমও হয় তাহলেও সোশালিস্টদের ক্ষমতায় ফেরা আটকাবে না।
নির্বাচনী তছরুপে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস বুয়েনস আয়ার্সে বসে বলিভিয়ার নির্বাচনের ফলাফলের দিকে চোখ রাখছেন। আর বলিভিয়াতে সোশালিস্ট পার্টিকে কাঁধে তুলে জয় নিশ্চিত করলেন মোরাসেলের অর্থমন্ত্রী লুইস আরসি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা সেন্ট্রিস্ট নেতা ৬৭ বছরের কার্লোস মেসা এবং দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী ৪১ বছরের লুইস কামাচো। রবিবারের ভোটের পর পেশাদার সংস্থাগুলোর করা শেষ এক্জিট পোলের যা পূর্বাভাস তাতে সোশালিস্ট আরসি ৫২.৪% ভোট পেতে চলেছেন। সেন্ট্রিস্ট পার্টির মেসার ঝুলিতে ৩১.৫% এবং দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী লুইস কামাচো মাত্র ১৪.১% ভোট পেতে চলেছেন। অন্যদিকে বলিভিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক্জিট পোলে সোশালিস্ট পার্টি ৫৩ শতাংশেরও বেশি ভোট পেতে চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বিপুল জয়ের স্বাদ পেয়ে জনতার উদ্দেশে বিবৃতি দিয়েছেন লুইস আরসি। তিনি জানিয়েছেন, বলিভিয়ায় মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পেরে ভালো লাগছে। প্রতিটি বলিভিয়াবাসীর আশা আকাঙ্খা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আমাদের পথ চলা। মনে রাখবেন, আমাদের সরকার প্রতিটি বলিভিয়াবাসীর।
বুয়েনস আয়ার্স থেকে মোরালেস জানিয়েছেন, এই জয় গোটা পৃথিবীর কাছে শিক্ষণীয়। আর একদা ডানহাত বর্তমানের নেতা লুইস আরসিকে পূর্বসূরীর পরামর্শ, এবার আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হও। মনে রেখো, ক্ষমতার ব্যবসায়ীরা এই জয়কে ভালো চোখে দেখবে না।
Comments are closed.