এবারের পুজো মণ্ডপ থাকছে দর্শকশূন্য। তবে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের করা পুজো মামলায় রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জিতে কিছুটা ছাড় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার আদালত জানায়, ৩০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ জন এবং বড়ো মণ্ডপে একসঙ্গে ৪৫ জন থাকতে পারবেন। আর খুব বড়ো মণ্ডপ হলে সর্বোচ্চ ৬০ জন প্রবেশ করতে পারবেন।
প্রতিদিন বদল করা যাবে পুজো উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা। পুজোর দিনগুলোতে সকাল আটটার মধ্যে সেই তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে। নো এন্ট্রি জোনে একমাত্র ঢাকিদের রাখা যাবে। তবে সেখানে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে করা দরকার বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। অঞ্জলি, সিঁদুরখেলায় কোনও ছাড় নেই।
এর আগে দুর্গা পুজো নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার রায়ে রাজ্যের প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপে দর্শক প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। প্রত্যেকটি মণ্ডপকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আরও জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৫ থেকে ২৫ জন উদ্যোক্তা মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন। তাঁদের নামের তালিকা আগে থেকেই জমা দিতে হবে। পুজোয় সমস্ত নির্দেশিকা মানা হল কিনা, সে বিষয়টা দেখার ভার পুলিশ প্রশাসনের উপর।
রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ৪০০ পুজো কমিটি। বুধবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ কেরলের ওনাম উৎসবের পর সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে জানায়, জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে রায়ে বিশেষ কোনও বদল হবে না। ফলে করোনা কালে দুর্গা পুজো মণ্ডপ থাকছে দর্শকশূন্যই।
Comments are closed.