সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরার ৪ দিনের মাথায় Facebook থেকে ইস্তফা আঁখি দাসের, জনসেবায় নিয়োজিত থাকবেন, জানালো সংস্থা
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটির সামনে ২ ঘণ্টা সওয়াল জবাবের ঠিক ৪ দিন পর Facebook থেকে ইস্তফা দিলেন আঁখি দাস। তিনি Facebook এর ভারত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পলিসি ডিরেক্টর পদে ছিলেন।
ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সমর্থনে প্রচার করা ও বিদ্বেষ ছড়ানো কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছিল। তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা ইস্যুতে কিছুদিন আগে সংসদের যৌথ কমিটির তলবেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার ফেসবুক থেকে ইস্তফা দিলেন আঁখি।
ফেসবুকের তরফে ইমেল বিবৃতিতে বলা হয়, জনসেবার প্রতি আগ্রহ রয়েছে তাঁর। সেই কাজে পূর্ণ সময়ের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে ফেসবুকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন আঁখি। ভারতে ফেসবুকের সবচেয়ে পুরনো কর্মীদের অন্যতম ছিলেন আঁখি দাস। ৯ বছর ধরে সংস্থার সম্প্রসারণ ও পরিষেবা বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা ছিল তাঁর। তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা। ফেসবুকের তরফে এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন সংস্থার ইন্ডিয়া ডিরেক্টর অজিত মোহন।
ফেসবুকের তরফে জনসেবার ধরণ নিয়ে অবশ্য কিছু খোলসা করা হয়নি। তাহলে কি পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন আঁখি? উত্তর অজানা।
গত অগাস্টে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে আসে আঁখি দাসের নাম। অভিযোগ, ফেসবুকে বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের হেট স্পিচে কার্যত আমল দেয় না ফেসবুকের ভারতীয় শাখা। এই বিষয়ে মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় ভারতে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিজেপি নেতা এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা-নেত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং পোস্ট ফেসবুক থেকে সরানোর ব্যাপারে ইচ্ছাকৃত গড়িমসি করতেন আঁখি দাস। এমনকী ফেসবুকের অন্দরে বিজেপি নেতাদের হেট স্পিচ নিয়ে লাল সংকেত জারি হলেও তা ব্যবসা বাড়ানোর স্বার্থে উপেক্ষা করেছেন আঁখি দাস বলেও অভিযোগ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
Comments are closed.