সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে তীব্র জল্পনা চলছে রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের থাকা নিয়ে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) পদ থেকে সুব্রত চ্যাটার্জির অপসারণের পরই দিলীপ ঘোষের অপসারণের জল্পনা শুরু হয়। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে এই দুই নেতার সুসম্পর্কের কথা সবাই জানেন। তাই সুব্রতবাবুর অপসারণের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারণের কথা বিবেচনা করছে, এমন খবর রটে যায়। কিন্তু তাকে গুজব বলেই উড়িয়ে দিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি জানান, এই জল্পনা বা রটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সুপরিকল্পিতভাবে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি তার রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখেই বিধানসভা নির্বাচন লড়বে। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চ্যাটার্জিকে অপসারণ করে তাঁর জায়গায় অমিতাভ চক্রবর্তীকে বসানো হয় এমন একটা সময়ে যখন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খানের মধ্যে বিভেদ চলছে। এর মধ্যে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ জল্পনা তৈরি করে দিলীপ ঘোষের সভাপতির পদে থাকা নিয়ে। তবে এসব স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। এর আগে মুকুল রায়ও দিলীপ ঘোষের পদত্যাগ নিয়ে চলা জল্পনায় জল ঢেলে জানান, এসবই রটনা। তাঁর দাবি ছিল, দিলীপ ঘোষের অপসারণ নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে। কিছু রাজনীতিক রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এসব করছে। আর এক শ্রেণির মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করছে। মুকুল রায় জানান, দিলীপ ঘোষই থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বেই ‘২১ এর বিধানসভা ভোট লড়বে বঙ্গ বিজেপি। সেই একই কথাই জানালেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। এদিকে যাকে নিয়ে এই সমস্ত জল্পনা, সেই দিলীপ ঘোষ এসম্পর্কে কী বলছেন? মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসাদের কথায়, আমি দলের অনুগত সৈনিক। আর এই অপসারণ সংক্রান্ত কোনও খবর নেই আমার কাছে।
Comments are closed.