লকডাউন এর কারণে অনেকেই আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। সে সাধারণ মানুষ হোক বা বড় কোনো ব্যবসায়ী সংস্থা। তাদের সুবিধার্থে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইএমআই রদের সুবিধা দেয়। ইচ্ছুক ব্যাক্তি তাদের নেওয়া ঋণের ইএমআই ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে বলে জানানো হয়।
মার্চের ২৭ তারিখে যখন সারা দেশে লকডাউন চলছিল তখন এই ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে আবার বলা হয়েছিল যে সুদের উপর সুদ নেওয়া হবে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের কিস্তি স্থগিত করা সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানতে বলে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে এই লকডাউন এর সময়কালে ঋণের মোরেটারিয়ামে সুদের উপর সুদ কেন নেওয়া হবে? তা নিয়ে কেন্দ্র ও ব্যাঙ্কগুলির কাছে প্রশ্ন করা হয়।
আরবিআই প্রাথমিকভাবে সে সময় জানায়, “জোর করে সুদ মকুবের পথে যাওয়া উচিত নয়। এতে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক অবস্থা খারাপ হবে হবে। ঋণের ওপর সুদ ব্যাঙ্কগুলির আয়ের একটা বড় পথ।” সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্যে সম্মতি প্রকাশ করেনি। কোর্টের তরফে জানানো হয় সুদের উপর সুদ নিলে মোরোটোরিয়ামের অর্থ কি?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পেয়ে কেন্দ্র জানায় ২৩ অক্টোবর মোরাটিয়ামের পর্যায়ে গ্ৰাহকের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি সুদের টাকা (সরল ও যৌগিক সুদের ব্যবধান) ফিরিয়ে দিতে হবে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এই নির্দেশের পর RBI জানায়।
এরপর ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি জানায় ” ইতিমধ্যেই টাকা গ্ৰাহকদের অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া শুরু করছে। গ্ৰাহকদের নথিভুক্ত মোবাইল নম্বর গ্ৰাহকদের নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে টেকস্ট ম্যাসেজের মাধ্যমে টাকা ফেরতের বার্তা পাঠানো হবে।” কত টাকা দেওয়া হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে বলা হয়।
কেউ মেসেজ না পেলে অনলাইন এও টাকা চেক করতে পারেন। তবে যারা টাকা পাওয়ার যোগ্য তাদের টাকা ৫ নভেম্বর এর মধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.