মধ্যবিত্তের উপর বড় ধাক্কা। আগামী বাজেট পর্যন্ত আর অপেক্ষা নয়, ডিসেম্বর থেকেই বাড়তে চলেছে টিভি, মোবাইল সহ ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসপত্রের দাম! সব্জি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অগ্নিমূল্যের বাজারে এমনিতেই নাজেহাল মধ্যবিত্ত। এবার সেই আঁচ লাগতে চলেছে গৃহস্থালীর পণ্যেও। মুদ্রাস্ফীতি এবং বিভিন্ন উৎপাদন সেক্টরের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের আমদানি বন্ধ থাকায় সঙ্কটে পড়েছে বিভিন্ন শিল্প। বিশেষত ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, মোবাইল এবং ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। এর ফলে আগামী মাস থেকেই ভারতের বাজারে বাড়তে চলেছে এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন সেটের দাম। দাম বাড়বে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল হ্যান্ডসেটেরও। এই মর্মে দেশের উৎপাদন সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন বণিকসভাগুলিকে সতর্ক করেছে। জানা যাচ্ছে, অন্তত ৩ থেকে ৫ শতাংশ হারে বাড়বে এসি, টিভি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি জিনিসপত্রের দাম।
বিভিন্ন উৎপাদন সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন জানাচ্ছে, ইস্পাত, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, জিঙ্কের মতো ধাতুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ১১ শতাংশ। অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশ। বিদেশ থেকে যেসব সস্তার যন্ত্রাংশ, ধাতব উপকরণ, কাঁচামাল আসত তা করোনা ও লকডাউনের কারণে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। এখন বাধ্য হয়েই দেশীয় উপকরণের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু সারা ভারতের বাজারকে সরবরাহ করার ক্ষমতা দেশীয় কাঁচামালের নেই। তাই বর্ধিত মূল্যে বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থাকে।মোবাইল উৎপাদনের বাজারেও একই সমস্যা। মোবাইল চিপসেট সাপ্লাই কমে গিয়েছে। চিন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের থেকে ভারতে বহু পণ্য আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে। চলতি বছরেই মোট তিনবার মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম বেড়েছে। এবার চতুর্থবারের জন্য ফের মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে চলেছে বলে খবর।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, একটু একটু করে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা তৈরি হচ্ছিল। উৎসবের মরসুমেও যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে যদি ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে তবে ফের ক্রয়প্রবণতা ধাক্কা খাবে। তাতে অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়ার পথ আটকাবে।
Comments are closed.