গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি বিজয়বর্গীয়র, রাজ্যপালের কাছে দরবার রাহুল-লকেটের

বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে অশান্তি ও এক কর্মীর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি ফের তুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। 

সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা। সেই অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দফায় দফায় বিজেপি ও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। পুলিশের মারে তাঁদের এক কর্মী মারা যান বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সোমবার বিজেপি যুব মোর্চার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পরে দাবি করেন, যেভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করল, লাঠিপেটা করল, তাতেই প্রমাণিত বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বিজয়বর্গীয়। 

এদিকে উত্তরকন্যা অভিযানে গণ্ডগোলের জেরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, লকেট চ্যাটার্জি প্রমুখ। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে জানান, পুলিশ ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপির মহিলা কর্মীরাও আক্রান্ত হন। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এক ট্যুইটে ফের রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার দিকে একটি আঙুল তোলেন রাজ্যপাল ধনখড়।

এদিকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে তাঁর দলের দাবি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষ, আমরা কাউকে শহিদ হতে দেব না। তৃণমূলের স্বাভাবিক মৃত্যু আসন্ন। 

বিজয়বর্গীয়দের কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, উত্তরবঙ্গে লুঠতরাজ, গুণ্ডামি করতে গিয়েছিল বর্গীরা, পুলিশ আটকেছে। এতে রাষ্ট্রপতি শাসন হয় না।

Comments are closed.