ভারতে বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্রই সংস্কারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কান্তের দাবি, এ দেশে বাড়াবাড়ি রকম গণতন্ত্র আছে। তাই সরকার সংস্কারের পথে গেলেই কঠিন বাধার মুখে পড়ে। তবে তিনি এও জানান, কেন্দ্রের মোদী সরকার সংস্কারের পথে হাঁটার সাহস ও সংকল্প দেখিয়েছে।
গণতন্ত্র নিয়ে নীতি আয়োগের সিইও চিনের উদাহরণ টানেন। তাঁর কথায়, চিনে সম্ভব হলেও, ভারতে কঠোর সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করা খুব কঠিন। কঠোর সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা জরুরি। খনি, কয়লা, শ্রম ও কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার ঘটিয়ে মোদী সরকার সেই রাজনৈতিক ইচ্ছা দেখিয়েছে বলে দাবি তাঁর। দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অমিতাভ কান্ত কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর দাবি, দেশের উন্নতির জন্য এই সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এটাই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর পথ। তিনি আরও জানান, এভাবেই কঠোর সংস্কার আনতে হবে। আমাদের দেশে বাড়াবাড়ি রকম গণতন্ত্র আছে। তার পরেও সরকার কয়লা, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কঠোর সংস্কার করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কৃষি আইনের সমর্থনে তিনি বলেন, চাষিদের কাছে থেকে বেসরকারি, কর্পোরেট সংস্থাগুলির ফসল কেনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) এর বিষয়টি আইনেই বেঁধে দেওয়া হোক। এমএসপি থাকবে, মান্ডিও থাকবে। তবে চাষিদের হাতে অবশ্যই পণ্য বিক্রি করার একাধিক বিকল্প থাকতে হবে। তাঁদের যেন কেউ বাধ্য না করতে পারে। তাতেই তাঁদের লাভ।
দেশজুড়ে চলা কৃষক আন্দোলনের সময় নীতি আয়োগের সিইও’র এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা তো বটেই অমিতাভ কান্তের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। তাঁর কথায় কান্তের মন্তব্য এমার্জেন্সির দিন স্মরণ করাল।
Comments are closed.