এতবছরেও বঙ্গ বিজেপি একজন নেতা তৈরি করতে পারেনি। তাই ভোটের আগে তৃণমূলের কাছ থেকে নেতা ধার করতে হচ্ছে তাদের। ঠিক এই ভাষাতেই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি আরও বলেন, মমতা ব্যানার্জিকে দেখিয়ে কিছু নেতা ক্ষমতা ভোগ করেছেন। এখন নিজেদের বিপুল অবৈধ টাকা বাঁচাতেই বিজেপির নৌকায় ঝাঁপ দিচ্ছেন তাঁরা। তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, এঁরা ভাবছেন ওখানে (বিজেপি) গেলেই বোধহয় জিতে যাব। তাঁদের Best of luck জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, শনিবার অমিত শাহের মেদিনীপুর সভায় শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া কার্যত নিশ্চিত। এদিকে তাঁর সঙ্গে আরও কতজন পদত্যাগী ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন তাই নিয়েই জল্পনা চলছে। এই প্রেক্ষিতে এদিন তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁদের তীব্র সমালোচনা করলেন কাকলি। তিনি বলেন, টেবিলের তলায় কী হল সেটা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন। বেইমানির ফল ভালো হবে না বলে নাম না করে শুভেন্দুদের আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী। বলেন, আঞ্চলিক দলগুলির ভিতরে দলবদলের রাজনীতি দস্তুর। কিন্তু কিছু নেতা অবৈধভাবে অর্থ-প্রতিপত্তি করেছেন। এই দলে থাকলে তাঁদের অস্বচ্ছতা প্রকাশ পেয়ে যাবে। এখন তাই বিজেপির চাপে পড়ে তৃণমূল ছাড়ছেন ওই নেতারা। তিনি বলেন, অনেকে আবার দলবদল করছেন ভোটের টিকিট পাবেন না এই আশঙ্কায়। এঁদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি দলত্যাগী নেতাদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছে তৃণমূল। কাকলির কথায়, তৃণমূলের সম্পদ বুথ কর্মীরা। আর বাংলার মানুষ মমতা ব্যানার্জির পাশে আছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, কৃষক সমস্যা প্রভৃতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে এবং ব্যর্থতা ঢাকতে মরিয়া বিজেপি। তিনি আরও বলেন, কিছু নেতাকে দলে টেনে নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে দুর্বল করার চেষ্টায় আছে বিজেপি। কিন্তু আঘাতে মমতা ভয় পান না, আরও শক্তিশালী হন। আগামী ভোটেই তা পরিষ্কার বোঝা যাবে বলে মন্তব্য কাকলি ঘোষদস্তিদারের।
Comments are closed.