মানবিক মমতাকেই চাই, স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা পেয়ে বলছেন সূর্যকান্তর এলাকার সিপিএম নেতা
স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড ছিল বলে বেচে ফিরতে পেরেছি, বলছেন প্রাক্তন সিপিএম সদস্য
লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্ড করাতে চান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এবার স্বাস্থ্য সাথীর ভূয়সী প্রশংসা সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের মুখে।
নারায়ণগড়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের একদা নির্বাচনী কেন্দ্র। সেখানেই স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা পেয়ে ২০২১ সালে আবার মমতার নেতৃত্বে সরকার দেখতে চাইছেন নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির ২ বারের সিপিএম সদস্য শক্তিপদ ভুঁইয়া।
জানা গিয়েছে, ৭ জানুয়ারি হৃদ রোগের সমস্যা নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হন শক্তিপদবাবু। ১০ জানুয়ারি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৬৩ বছরের শক্তিপদ ভুঁইয়া। দেখা যায় হাসপাতালের বিল হয়েছে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। শক্তিপদ ভুঁইয়ার স্ত্রী একটি স্বনির্ভর দলের সদস্য। আগে থেকেই তাঁর নামে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড ছিল। সেই কার্ড দেখিয়ে নামমাত্র খরচ মিটিয়ে নারায়ণগড় ফেরেন শক্তিপদ বাবু। জানা গিয়েছে শক্তিপদ ভুঁইয়াকে দিতে হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। বাকিটা স্বাস্থ্য সাথী দিয়েছে।
এতদিন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পেতেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী সহ নির্দিষ্ট কিছু পেশার লোকেরা। কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা রাজ্যের সব বাসিন্দাদের জন্য করে দিয়েছেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সাথীর চাহিদা তুঙ্গে। এবার সেই কার্ডের সুবিধা পেয়ে মমতা ব্যানার্জির ভূয়সী প্রশংসা করছেন দু’বারের পঞ্চায়েত সদস্য তথা সিপিএমের প্রাক্তন পার্টি মেম্বার শক্তিপদ ভুঁইয়া।
শক্তিপদ ভুঁইয়া বলছেন, সামান্য জমি আছে। ৪ ছেলেই বেকার। তাই অত টাকা দেওয়ার সাধ্য ছিল না। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড ছিল বলে বেচে ফিরতে পেরেছি। মানবিক মমতা সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরুক, বলছেন সিপিএমের নেতা শক্তিপদ ভুঁইয়া।
ঘটনায় খুশি নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। প্রদ্যোত ঘোষের দাবি স্বাস্থ্য সাথী যে কতটা উপকারী ক্রমশ বিরোধীরাও বুঝতে পারছেন। তাই দিলীপ ঘোষের পরিবার থেকে সিপিএম নেতা, সবাই স্বাস্থ্য সাথীর জন্য ছুটছেন।
Comments are closed.