উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এটা আমার ভোট। আমাকে চাইলে জোড়াফুলে ভোট দিন। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মালদার কর্মিসভায় মমতা উগরে দিলেন ৩ দশকের আক্ষেপ। বললেন, ৩০ বছর ধরে মালদায় আসছি, দেখেছি কত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মালদায় কোনও আসন পাই না বলে মনে দুঃখ হয়।
বিজেপির সঙ্গেই কংগ্রেস ও বামেদের মিলিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, আমি দেখেছি মালদায় ভোট এলেই অঙ্কটা বদলে যায়। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সব ভাগাভাগি করে নেয়। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া আছে। তাই তৃণমূল ছাড়া আর কাউকে ভোট দেওয়া মানেই বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া।
মালদায় আসন না পাওয়া প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি বলেন, এখানে অপপ্রচার করে মৌসমকে হারানো হয়েছে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মালদা আমাকে আসন না দিলেও আমি কখনও অবহেলা করিনি। মৌসমকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি।
মালদা বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। এদিন মমতার কথায় উঠে আসে প্রয়াত গনি খান চৌধুরির নাম। বলেন, বরকতদা এখান থেকে লোকসভায় জিততেন কিন্তু কংগ্রেস কোনওদিন রাজ্যসভায় পাঠায়নি। তারপরই মালদার জনতার উদ্দেশ্যে মমতার আবেদন, কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপিকে অনেক ফজলি আম খাইয়েছেন। এবার আমাকে খাওয়ান। আমার কিন্তু আম ও আমসত্ত্ব দুটোই চাই। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মমতার প্রশ্ন, কী পাব তো আসন? সমস্বরে হ্যাঁ জবাব দেয় ভিড়ে ঠাঁসা কর্মিসভা।
[আরও পড়ুন- মমতা: এটা আমার ভোট, আমায় চাইলে জোড়া ফুলে ভোট দিন, প্রার্থী কে ভাববেন না]
এদিন বিজেপিকেও তুমুল কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, লোকসভায় মালদায় একটা আসন পেয়েছে বিজেপি। কী উন্নয়ন করেছে? বিজেপির রথযাত্রাকে মালদা থেকেও কটাক্ষে বেঁধেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, রথযাত্রাকে সম্মান করি কিন্তু বিজেপি নেতাদের নয়। রথের নামে বাংলায় নাটক হচ্ছে! বিজেপি নেতারা জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা সেজে ভগবানকেই কালিমালিপ্ত করছেন।
এদিন রাজ্য সরকারের কাজ নিয়েও বলেন মমতা। জানান, বাংলাতেই একমাত্র বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। বিনামূল্যে আজীবন রেশন পেতে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। মমতা বলেন, ২০২১ সালে আরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল। কেন্দ্রের কৃষি আইনের নিন্দা করে মমতা জানান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা মারা যাচ্ছে। হরিয়ানার কৃষকরা কাঁদছেন। মমতার হুঙ্কার, বাংলায় কৃষকরা সম্পদ। তাদের লুঠ করতে দেব না।
Comments are closed.