গণতন্ত্রের দাবিতে ফের উত্তপ্ত মায়ানমার, এ পর্যন্ত সেনা শাসকদের হাতে মৃত্যু ৩৮ আন্দোলনকারীর

বুধবার পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৮ জন আন্দোলনকারীর।

সেনা শাসকদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের দাবিতে মুখর মায়ানমারবাসী। বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানকার নানা শহরে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে ঠেকাতে ফের রাস্তায় নামল সেনা-পুলিশ। বৃহস্পতিবার মিছিলের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েকটি শহরে গুলি চালায় পুলিশ। কোথাও কোথাও চলে রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস। এদিন কমপক্ষে ১০ আন্দোলনকারীরা মৃত্যু হয়। আহতদের রাখা হয়েছে হাসপাতালে।

এর আগে, বুধবার পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৮ জন আন্দোলনকারীর। ইউএন -এর তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান জারি হওয়ার পর থেকে গতকালই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। মায়ানমারে জরুরি অবস্থার প্রথম দিন থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছে অসহযোগ আন্দোলনে। তাঁদের দাবি, দেশের নেতাদের গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি দিয়ে, পুনরায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের পথ আটকাতে মায়ানমার সেনা সরকার ডিজিটাল অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে। সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য হাতের মুঠোয় করে নিচ্ছে সেনারা।

মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির খবর যাতে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাই সেনাদের নিশানায় এখন সাংবাদিকরা। সম্প্রতি বেশকিছু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার এবং ভুল খবর ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার ব্রিটেনে একটি বৈঠকে ডাক দেন। অবিলম্বে সেনাদের যাবতীয় অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

Comments are closed.