নির্বাচনী প্রচারে যখন অর্থের ছড়াছড়ি তখন আওয়ার ডেমোক্রেসি ক্রাউড ফান্ডিং-এ নামলেন জামুড়িয়ার সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষ।
আওয়ার ডেমোক্রেসি ক্রাউড ফান্ডিং পোর্টালে ২৮ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করার প্রয়াস নিয়েছে টিম ঐশী। দু’দিনে উঠেছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৫০ টাকা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করেন ঐশী ঘোষ।
TheBengalStory-কে ঐশী জানিয়েছেন, আমরা গ্ল্যামারাস প্রচারে নেই। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে সাধারণভাবে প্রচার করছি। নির্বাচনের খরচ তুলতে তাই ভরসা রাখছি সাধারণ মানুষের ওপর। অন্যান্য দলের মতো কর্পোরেটের উপর নির্ভরশীল আমরা কোনোদিন না, জানাচ্ছেন ২৬ বছরের সিপিএম প্রার্থী।
ক্রাউড ফান্ডিং নতুন কোনও বিষয় নয়। নির্বাচন খরচ সামলাতে এর আগে একই ক্রাউড ফান্ডিং পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন কানাইয়া কুমার। দিল্লির বিধানসভা ভোটে আপ প্রার্থী আতিশিও একইভাবে ক্রাউড ফান্ডিং করে খরচ তুলেছিলেন। এবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিংয়ে নাম লেখালেন ঐশী ঘোষ সহ আরও একাধিক সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী। জেএনইউ পড়ুয়া সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী জানাচ্ছেন, দোলের আগেই অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিংয়ে নেমে পড়েছিলেন। কে কত টাকা দিচ্ছে, কার অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা আসছে তার সম্পূর্ণ তথ্য দেখা যাবে এই ডিজিটাল মাধ্যমে।
জামুড়িয়ার সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষের মতে যাঁর যেমন সামর্থ্য, তেমন টাকাই দিচ্ছেন। সাধারণ পরিবারের মেয়ে ঐশীকে এবার জামুড়িয়া থেকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। তাই সাধারণ মানুষের অনুদানের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন- বিমান বসুকে পাশে নিয়ে নন্দীগ্রামে শেষ বেলার প্রচারে মীনাক্ষীর লাল ঝড়]
এর আগেও বালির সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর এবং নন্দীগ্রামের সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী ভোটের খরচ তুলতে সাধারণের কাছে নিজেদের ব্যাঙ্ক আকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ঐশী জানিয়েছেন, এখনও এমন অনেকে আছে, যাদের কাছে মোবাইল নেই বা তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্বন্ধে কিছুই বোঝেন না, তাঁদের জন্যই দীপ্সিতা, মীনাক্ষীরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন। ঐশী ঘোষের দাবি অনেক বয়স্ক মানুষ ব্যাঙ্কে গিয়ে সরাসরি বাম প্রার্থীদের আকাউন্টে টাকা দিয়ে এসেছেন।
এই বছর লকডাউনের কারণে প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই সাহায্য আসছে। আমরা সেই দাবিই রেখেছি সাধারণ মানুষের কাছে, বলে জানিয়েছেন ঐশী। শুধুমাত্র বাংলা নয়, সারা দেশ থেকেই অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছেন ঐশী।
Comments are closed.