প্রচারের শেষ বেলায় নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ের সভায় অন্য মেজাজে মমতা ব্যানার্জি। আর পাঁচটা জনসভার মতো মাইক ধরে ভাষণ নয় বরং কথোপকথনের ঢঙে তীক্ষ্ণ বাক্যবাণে বিঁধলেন প্রতিপক্ষকে। সেখানে বিজেপি শিবিরের দুই মহারথীর অতীত উল্লেখ করে বর্তমানের বিশ্লেষণ করলেন তৃণমূল নেত্রী।
একাধিক রোড শো, জনসভা ছিল তৃণমূল নেত্রীর শেষ বেলার প্রচারে। সব শেষে মমতা পৌঁছন টেঙ্গুয়া মোড়ে। সেখানেই চিরাচরিত কায়দায় বক্তৃতা নয় বরং মমতার সভা হয়ে উঠেছিল ১৪ বছর আগের জমি আন্দোলনের সময়ের অ্যাকশান রিপ্লে। মাইক হাতে হেই সামালো গান ধরেছেন দোলা সেন। মঞ্চে পূর্ণেন্দু বসু, সুব্রত বক্সীরা। অনুপস্থিত কেবল একদা তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। সশরীরে না থাকলেও প্রাক্তন নেত্রীর স্মৃতিচারণায় নন্দীগ্রামের মঞ্চে যেন হাজির হয়ে গেলেন মুকুল-শুভেন্দু। কী বললেন মমতা?
কথা হচ্ছিল বিজেপির প্রার্থী-বিড়ম্বনা নিয়ে। মমতা নিজের স্টাইলেই কথা বলছিলেন লোকজনের সঙ্গে। চলছিল হাসি-ঠাট্টা। তখনই মমতা ব্যানার্জি বলেন বিজেপিতে পুরনোরা এখন কেবল হরে কৃষ্ণ, হরে রাম করছেন। এমন কী জয়প্রকাশকেও টিকিট দেয়নি, বলেন মমতা। তারপরই নেত্রীর মুখে উঠে আসে একদা সহকর্মীর কথা। মমতা বলেন, মুকুল বেচারা থাকে কাচরাপাড়ায়। ব্যারাকপুর, জগদ্দল, ভাটপাড়া এটা ওর নিজের জেলা। পাঠিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগরে। মুকুল শুভেন্দুর মতো অত খারাপ নয়। অন্তত এটা আমি বলব। তারপরই অবশ্য শুভেন্দু-মুকুলের সুস্থতা কামনা করে তিনি প্রসঙ্গ বদলান।
এখন প্রশ্ন হল, কেন একথা বললেন মমতা? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অত্যন্ত কৌশলে মমতা ব্যানার্জি বিজেপির অন্দরের গোলমাল উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। এখানেই থামেননি মমতা। তাঁর দাবি বিজেপির অনেকেই তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, এখনও অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার কাছে অন্তত ১৫ টা কেসের খবর আছে। আমি বলেছি নো চান্স।
এরপরই মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমি সবাইকে বিশ্বাস করে ফেলি বলে বক্সীদারা (পড়ুন সুব্রত বক্সী) আমাকে বকেন। আমি আর এভাবে বিশ্বাস করব না, বলেন মমতা।
Comments are closed.