গত শনিবার রাত থেকে যে ট্রেন্ডিং শুরু বুধবার সকাল থেকে তা ট্রেন্ডিং শীর্ষে। ভারতের করোনা বিপর্যয়ের দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইস্তফা দিন। এই ছিল ট্রেন্ডিংয়ের মূল সুর। বৃহস্পতিবার সকালেই যা আরও বেশি মানুষের নজর কেড়ে নিল।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে যাঁরা ফেসবুকে পোস্ট করছিলেন তা সঙ্গে সঙ্গে আটকে যাচ্ছিল। তাহলে কি কেন্দ্র থেকে কোনও নির্দেশ গিয়েছে? শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। আমেরিকা, ইউরোপের সংবাদমাধ্যম খবরটি বিশাল করে প্রকাশ করে। ঘণ্টা তিনেক পর বিবৃতি দেয় ফেসবুক। জানায় ভুল করে হ্যাশট্যাগ রিজাইন মোদী আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরে ভুল ধরা পড়তেই তা খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন উঠে যায়, এটা কি শুধুমাত্র ফেসবুকের ভুল? ভারত সরকার বিবৃতি দিয়ে কার্যত বকুনি দেয় পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমকে। বলে তাদের দুষ্টুমির জন্যই এই বিভ্রান্তি। ইচ্ছে করেই এই দুষ্টুমিতে মেতেছে তারা। কেন্দ্রীয় সরকার বলে, সরকারি স্তরে হ্যাশট্যাগ রিজাইন মোদী আটকাতে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
এই গোটা পর্বে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, কেন্দ্রের বিবৃতি। সেখানে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের মতো প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এর আগেও এই সংবাদমাধ্যম ফেক নিউজ প্রকাশ করে ভারতের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। এবারও তাদের দুষ্টুমিতেই এই ঘটনা।
এখন প্রশ্ন হল, এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত? যদি তা না হয় তাহলে প্রশ্ন ওঠে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম কি ইচ্ছাকৃত ভারতের ক্ষমতাসীন দলকে নিশানা করছে? কোনটা ঠিক? উত্তর অধরা।
Comments are closed.