২০১৬ এর NARADA STING, জানেন কী হয়েছিল সেই সময়?

স্টিং অপারেশন নিয়ে ২০১৬ সালের ১৭ জুন কংগ্রেস এবং বিজেপি পৃথক পৃথক ভাবে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের আর্জি জানিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে

১৪ মার্চ ২০১৬, রাজ্য বিধানসভা ভোটের আর এক মাসও বাকি নেই। ভোটের একেবারে দোরগোড়ায় বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে একটি ভিডিও স্টিং দেখানো হয়। সেখানে দেখা যায়, তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা টাকা নিচ্ছেন, প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে।

তৃণমূলের ১১ জন নেতার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নারদ স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পরে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের অভিযোগ নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিজেপি ষড়যন্ত্র করেছে।

ওই ভিডিওতে তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চ্যাটার্জি সহ বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জি, সহ একাধিক নেতাকে দেখা যায়। সাংসদ সৌগত রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন ব্যানার্জিকেও দেখা যায় টাকা নিতে। ভিডিওতে মদন মিত্রকেও দেখা যায়।

স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করে ম্যাথু স্যামুয়েল জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা ওই স্ট্রিং অপারেশন চালিয়েছিলেন।

মাঝে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীরা বিজেপি গিয়েছেন। নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে ২০১৬ সালের ১৭ জুন কংগ্রেস এবং বিজেপি পৃথক পৃথক ভাবে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের আর্জি জানিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে। সিবিআই, ইডি নারদ মামলার তদন্ত শুরু করে।

নারদ স্ট্রিং অপারেশন নিয়ে এই কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মাঝে মাঝেই শাসক বিরোধীদের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর দেখা যায়। প্রতিটা ভোটের মুখেই স্ট্রিং অপারেশন অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

মাঝে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিংহকেও। তাঁর টাকাতেই এই স্ট্রিং অপারেশন চলানো হয়েছে বলে তদন্তে জানিয়েছিলেন ম্যাথু। পরে অবশ্য কে ডি সিংহকে বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। নারদ তদন্ত চললেও কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়নি।

তৃণমূলের দাবি, একই অভিযোগে কেবলমাত্র তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করে স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা দিল মোদী-শাহের সরকার।

Comments are closed.