মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জিকে দিল্লিতে বদলি, প্রতিহিংসার রাজনীতি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় শেষ পেরেক। কড়া বিবৃতি দিয়ে মমতা ব্যানার্জির পাশে দাঁড়াল জাতয়ও কংগ্রেস। এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যেভাবে গণতন্ত্রের অবমাননা করছে, তা দেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে। আচমকা, ন্যক্কারজনকভাবে বাংলার মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশে সারা দেশের মানুষই শঙ্কিত, দাবি কংগ্রেসের।
তিনি জানিয়েছেন আরও বিষ্ময় হল, ৪ দিন আগেই মোদী সরকার মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জির কাজের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সায় দিয়েছে। আর এরপরেই তাঁকে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ ভারতের সংবিধান কাঠামোকে হত্যার সমান।
মে মাসের ৩১ তারিখে মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জির কর্মজীবনা অবসরের কথা ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় আলাপনের ভূয়সী প্রশংসা করে এই সময় তাঁকে রাজ্যের প্ৰয়োজন জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে আলাপনের তিনমাসের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি করে ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যাতে দায় দেয় কেন্দ্র। কিন্তু তার আগেই মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র।
কংগ্রেসের এই বিবৃতিতে নারদকাণ্ডে ৪ নেতামন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গও রয়েছে।কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে লেখা বিচারপতি অরিন্দম সিন্হার চিঠির প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে।
নারদ মামলায় ৪ জনের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের আবেদনকে লিখিত পিটিশন হিসেবে গ্রহণ করেছিল। তা নিয়ে চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অরিন্দম সিন্হা। এই ঘটনায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগও করেছে কংগ্রেস।
Comments are closed.