নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর নানুরের পাকুড়হাস গ্রামের প্রায় ৭৫টি বিজেপি সমর্থক পরিবার ঘরছাড়া ছিল। বুধবার নানুরের তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ঘরে ফিরলেন ওই বিজেপি সমর্থকরা। গ্রামে ফিরে বিধায়কের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে তাঁরা ঘর ছাড়া হয়। পরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার বার ঘরে ফেরার আবেদন করলেও, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের কথা রাখেননি।
মঙ্গলবার বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানোর দাবি জানিয়ে লিখিত আবদেন জমা দেয়। জানা যাচ্ছে, প্রশাসন পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই বিধায়কের উদ্যোগে ঘরে ফেরেন বিজেপি সমর্থকরা।
তৃণমূল বিধায়কের দাবি, নানুরে নির্বাচনের আগে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক তৃণমূলের উপর নানারকম অত্যাচার চালিয়েছে, নির্বাচনে ফল বেরোনোর পর আমাদের সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করবে বলেও হুমকি দেয়। যার জেরে ফলপ্রকাশের পর নিজেরাই ভয় পেয়ে গ্রাম ছেড়ে পালায়। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ওই বিজেপি সমর্থকরা ভুল বুঝতে পেরে নিজেরাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানায়।
এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গোটা রাজ্যের মত নানুরেও তৃণমূল সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে। নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর তৃণমূলের অত্যাচারে আমাদের কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। এখন ভয় দেখিয়ে ওদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের আরও দাবি, ঘাসফুল পতাকা হাতে নিলেও মনে মনে ওই কর্মীরা বিজেপিতেই রয়েছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যু নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত। বিজেপির একাধিক নেতার দাবি, ভোট মিটলেও রাজ্যে তৃণমূলের প্ররোচনায় হিংসার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের তরফে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজনৈতিক হানাহানি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কঠোর হাতে পদক্ষেপ করার বার্তা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নানুরের বিধায়কের হস্তক্ষেপ বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর ঘটনার প্রশংসা করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Comments are closed.