বৃহস্পতিবার বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে ৩ হাজার জুনিয়ার ডাক্তার গণ ইস্তফা দিলেন। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা বনধকে বেআইনি বলে মন্তব্য করে। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ৩ হাজার চিকিৎসক চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
Madhya Pradesh Junior Doctors Association (MPJDA) সভাপতি ডাক্তার অরবিন্দ মিনা জানান সরকার যতদিন না তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নিচ্ছে ততদিন তাঁরা বনধ প্রত্যাহার করবেন না।
উল্লেখ্য স্টাইপেন্ড বৃদ্ধি, জুনিয়র চিকিৎসক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে MPJDA সোমবার বনধ ডাকে। সংগঠনের সভাপতি অরবিন্দের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই থার্ড ইয়ারের ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ হোস্টেল বাতিল করে দিয়েছে। যার জেরে অনেক জুনিয়র চিকিৎসকই পরীক্ষা দিতে পারেনি। সংগঠন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
ডাক্তার অরবিন্দ মিনা জানান, Medical Officer Association এবং Federation of Resident Doctors Association’ও বিক্ষোভে যোগ দেবে।
এছাড়াও রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশের, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা মহারাষ্ট্রের ডাক্তাররা তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে।
গত ৬ মে তাঁদের সমস্ত দাবিদাওয়া মেটানোর কথা দিলেও শিবরাজ সিংহের সরকার প্রতিশ্রুতি রাখে নি বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি অরবিন্দ মিনা। তাঁর দাবি, সরকার ঘোষণা করেছিল তাঁদের ভাতা ২৪% বাড়াবে, যতক্ষণ সরকার এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে তাঁদের বনধ চলবে।
কয়েকদিন আগে আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ চিকিৎসকদের এই বনধের প্রতিবাদে হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। বিচারপতি মহম্মদ রফিক এবং বিচাপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, এই সংকটের মুহূর্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের বনধ সম্পূর্ণ বেআইনি।
আদালত আন্দোলকারীদের নির্দেশ দেয়, শুক্রবার দুপুর আড়াইটের মধ্যে যেন তাঁরা কাজে যোগ দেন। কোর্টের অর্ডার অমান্য করলে সরকার যেন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়।
হাইকোর্টের এই রায়ের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। তিন হাজার চিকিৎসক ইস্তফা দেন। মুহূর্তে থেমে যায় মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের কাজ। এর জেরে রাজ্যে করোনা চিকিৎসাতেও প্রভাব পড়েছে।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসকদের দাবি মেনে ১৭ শতাংশ স্টাইপেন্ড বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Comments are closed.