নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। সাক্ষাৎ শেষে নন্দীগ্রামের বিধায়ক মন্তব্য করেছিলেন, রাজ্যপালের কাছে কেন এসেছি তা কয়েকদিন পরেই বুঝতে পারবেন। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় দিল্লি রওনা হচ্ছেন। ঠিক তার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া চিঠি দেন রাজ্যপাল ধনখড়।
Constrained to conveyed @MamataOfficial that continued silence & inaction over post poll violence, violation of human rights & dignity of women, destruction of property, perpetuation of miseries on political opponents- worst since independence, ill augurs for democracy. pic.twitter.com/zoNewdpEob
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 15, 2021
শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে যার জেরে তুঙ্গে জল্পনা।
মঙ্গলবার ট্যুইটে রাজ্যপালের দিল্লি সফরের কথা জানায় রাজভবন। মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ফিরবেন ১৮ জুন।
রাজ্যপাল পদে আসীন হওয়ার পর থেকেই জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে শাসক দলের নানা ইস্যুতে সংঘাত বেঁধেছে। তৃতীয়বারের জন্য মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত তুঙ্গে ওঠে।
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিকবার রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন। সোমবারও বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনের সমালোচনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজভবনের খোলা বারান্দায় বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে উদ্দেশ্য করে ইঙ্গিতপূর্ন ভাবে বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ-এর কারণ কয়েকদিন পরেই বুঝতে পারবেন। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে নানান আলোচনা শুরু হয়েছে।
রাজভবন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, ভোটের পরেই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যপালকে ফোন করে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। পরে তিনি সে কথা ট্যুইট করে জানান।
রাজ্যপালের এই দিল্লি সফরকে বৃহত্তর কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
Comments are closed.