বুধবার মমতা ব্যানার্জি সোনিয়া গান্ধীর বৈঠকের পরেই শুক্রবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলের বৈঠকে হাজির তৃণমূল। এদিন কংগ্রেসের রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যসভার সুখেন্দু শেখর রায়।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে ১৬টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলের যোগদান অত্যন্ত তাৎপর্পূর্ণ একটি ঘটনা।
বুধবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এমনই এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে বাকি বিরোধী দল থাকলেও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। তৃণমূলের এই অনুপস্থিত নিয়ে কটাক্ষ শোনা গিয়েছিল বিজেপির গলায়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিরোধী জোটের যে গোড়াতেই গলদ তা তৃণমূল উপস্থিত না থেকে বুঝিয়ে দিয়েছে।
বুধবার সোনিয়া গান্ধীর ১০ জনপদে বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বৈঠক যে ইতিবাচক হয়েছে তা এদিন তৃণমূলের উপস্থিতিতে স্পষ্ট।
রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রূপরেখা ঠিক করতেই ১৬টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন।
রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে,প্রাথমিক ভাবে একটা সমন্বয়ের অভাবের কারণেই গত মিটিং তারা ছিল না। তবে এখন সব মিটে গিয়েছে। দলনেত্রীর নির্দেশ মত এবার থেকে একজোট হয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে ঘাসফুল শিবির।
রাজনৈতিক মহলের মতে তৃণমূল নেত্রী একুশে জুলাই যে মহাজোট গঠনের বার্তা দিয়েছিলেন তারাই সলতে পাকানো শুরু হয়েছে বিরোধীদের একত্রিত হওয়ার মধ্য দিয়েই।
Comments are closed.