ফের ত্রিপুরা সফরে তৃণমূলের ৮ জন সাংসদ সহ দুই মন্ত্রী। সোমবার ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালনের লক্ষ্যেই সাংসদদের এই সফর বলে জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এসএসকেএমে সুদীপ, জয়াদের দেখতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ত্রিপুরায় রং পাল্টালাবে, দিল্লিতেও রং পাল্টাবে।
২০২৩ ত্রিপুরার রং পাল্টাতে যে মরিয়া ঘাসফুল শিবির তা কদিনের ঘটনাক্রমে স্পষ্ট। তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ত্রিপুরা রওনা দিয়েছেম সাংসদেরা।
গত শনিবার দেবাংশুদের উপর হামলার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রবিবারই সেখানে অভিষেক ব্যানার্জি সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব পৌঁছান। এই ঘটনার জেরে অভিষেক ব্যানার্জি, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনদের নামে সরকারি কাজে বাধা সহ একাধিক অভিযোগ এনেছে সেখানকার পুলিশ। আর এর মধ্যেই ফের ত্রিপুরায় ব্রাত্য বসু, দোলা সেন।
শনিবারের পর ত্রিপুরার একাধিক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের। তৃণমূল সমর্থকদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিপ্লব দেবের সরকার। জানা যাচ্ছে, খেলা হবে দিবস পালনের পাশাপাশি কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদেও সোচ্চার হবেন সাংসদেরা। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আইনি পথে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।
সাংসদদের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, প্রসূন ব্যানার্জি, প্রতিমা মন্ডল, অপরূপা পোদ্দার, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, আবু তাহের খান। ইতিমধ্যেই আগরতলায় আছেন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
এদিকে শুক্রবারই ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিছিল করবে বিজেপি। যার জেরে কার্যত সম্মুখ সমরে দুই যুযুধান পক্ষ।
সাংসদের প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিও খুব শীঘ্রই ত্রিপুরা যেতে পারেন। সব মিলিয়ে বছর দেড়েক বাকি থাকলেও ২০২৩কে কেন্দ্র করে এখন থেকেই ত্রিপুরার রাজনীতি কার্যত উত্তাল।
Comments are closed.