কাজের জীবনে জুটেছে লাথি-ঝাঁটা, ব্যর্থ হয়েছেন প্রেমে, ছিল খুব কষ্টের জীবন, সোনু নিগমের ব্যক্তিগত জীবন হার মানাবে বড়পর্দার ছবিকেও
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক হলেন সোনু নিগম। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা ভাষাতেও একাধিক গান গেয়েছেন এই গায়ক। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু করলেও সব ধরনের গান গাইতে সাবলীল এই গায়ক। বর্তমানে সোনু নিগম জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত শিখরে বসে রয়েছেন। জনপ্রিয়তার শিখরে উঠতে তাকে কাটিয়ে কাটাতে হয়েছে বহু বাধা বিপত্তি। অনেক ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে।
সোনু নিগমের বাবা আগম কুমার নিগাম এবং মা শোভা নিগন দুজনেই গান-বাজনা সাথে যুক্ত ছিলেন। ছোট থেকেই বাবা-মাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেখে বড় হয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে তার গানের প্রতি আলাদা একটা টান তৈরি হওয়াটা আশ্চর্য নয়। ছোট থেকেই গান-বাজনাকে সঙ্গী করেই বড় হয়ে উঠেছেন গায়ক। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবার সাথে মঞ্চে প্রথম গান গেয়েছিলেন তিনি। এই থেকেই শুরু, যা চলছে আজও।
ছোটবেলায় ওস্তাদ গোলাম মুস্তফা খানের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্য তালিম নিয়েছিলেন তিনি। পরে ধীরে ধীরে সব ধরনের গান গাইতে শুরু করেছিলেন। তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তাকে একটা তবলা কিংবা গিটার কিনে দেওয়ার টাকা ছিল না তার বাবা-মায়ের কাছে। বেঞ্চ বাজিয়ের গান গাওয়ার অনুশীলন চলত। মুম্বাইতে পাড়ি দেওয়ার পর কুমার শানু, উদিৎ নারায়ণ এবং অভিজিৎ-এর মত কিংবদন্তি গায়কদের সাথে টেক্কা দিয়ে টিকে থাকার লড়াই করতে হয়েছিল সোনু নিগমকে। সেইসময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের জন্য সেরম জায়গা ছিল না।
পরবর্তীকালে এই গায়ক ১৯৯০ সালে প্রথম একটি সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিনেমা আজ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। পরে টি-সিরিজের মালিক, গুলশান কুমার সোনু নিগমের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ‘বেবাফা সানাম’এ ‘আচ্ছা সিলা দিয়া তুনে’ গানটি গাইয়েছিলেন সোনু নিগমকে দিয়ে। যা রীতিমতো হিট করেছিল দর্শকদের মধ্যে। এরপর থেকে তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৯৯৫ সালে একটি অনুষ্ঠানে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তার স্ত্রী মধুরিমাকে দেখে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তার। ২০০২ সালে মধুরিমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ তাহলে তাদের কোন আলো করে নিভান আসে। পরবর্তীকালে সুনিধি চৌহান ও স্মিতা ঠাকুরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল সোনু নিগমের। তবে ছেলের কথা ভেবেই সেইসব সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন তিনি।
Comments are closed.