শ্যুটিং চলাকালীন দৃশ্যের মধ্যেই জোর করে রেখার ঠোঁটে চুম্বন করেছিলেন প্রসেনজিৎ-এর বাবা বিশ্বজিৎ, কেঁদে ফেলে ছিলেন একদম বাচ্চা মেয়ে অভিনেত্রী রেখা

বলিউডের আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বর্তমানের বহু নায়িকাকে টেক্কা দেন এই অভিনেত্রী। বহু অভিনেত্রীর কাছে তিনি ভগবান। তাকে অনুসরণ করে এবং আদর্শ মনে করে এই অভিনয় জগতে পা রেখেছেন বহু অভিনেত্রী। তার নামটাই এখনকার বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট। তবে আজ জনপ্রিয়তার এই চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছানোর জন্য অনেক বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। শোনা যায়, অভিনয় জগতে পা রাখার সাথে সাথেই গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল রেখাকে।

বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারের অভিনেত্রী নিজের মুখেই স্বীকার করেছিলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসার তার কোন ইচ্ছা ছিল না। একপ্রকার জোর করেই তাকে অভিনয় জীবনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। তার বাবা-মা দুজনেই দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় তারকা ছিলেন। সেই সূত্র ধরেই অভিনয় জগতে পা রাখেন রেখা। তারপর থেকেই অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল এই স্বনামধন্য কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রথমদিকের ছবিতে অভিনয়ের কথা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেও সেই ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পাননি তিনি। ১৩-১৪ বছর বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি। শুরুর দিকে শুটিং সেটেই টলিউড ও বলিউড খ্যাত অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেই শারীরিকভাবে হেনস্থা হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। অনেক কিছু সহ্য করার পরে আজ তিনি বলিউডের রেখা হয়ে উঠেছেন।

১৯৬৯ সালে কুলজিৎ পালের পরিচালনায় ‘আনজানা সাফার’ শুটিং চলছিল বম্বের মেহবুব স্টুডিওতে। ছবিতে প্রয়োজন ছিল একটি চুম্বনের দৃশ্য। ১৫ বছর বয়সি রেখাকে সেই দৃশ্য সম্পর্কে এতোটুকু জানতে না দিয়ে সরাসরি শটের মধ্যেই প্ল্যান করে করা হয়েছিল। প্রায় ৫ মিনিট ধরে সুজির চট্টোপাধ্যায় চুম্বন করেছিলেন রেখাকে। অদ্ভুতভাবে শোনা যায় সেই সময়ে পরিচালক একবারের জন্যেও কাট বলেননি। তবে এই ঘটনায় ভালোই শখ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।

শুরুর দিন থেকেই তাকে তার গায়ের রং নিয়ে বহু জনের কাছে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল। তার চেহারা অভিনেত্রী হওয়ার মতো সুন্দর নয় এমন কথাও শুনতে হয়েছিল তাকে। ইন্ডাস্ট্রিতে পা দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে তাকে সুন্দরী হতে হবে। আর তারপর থেকেই অভিনেত্রী নিজেকে মেইনটেইন করতে শুরু করেছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন বলিউড খ্যাত অভিনেত্রী রেখা।

শোনা যায়, কয়েকবছর কেবল দুধ আর এলাচ খেয়ে কাটিয়েছিলেন তিনি। একসময় পর্দায় অমিতাভ-রেখা জুটি ছিল সুপার ডুপার হিট। তাদের অভিনীত সিনেমা আজও মানুষের মনের মনিকোঠায় রয়ে গিয়েছে। মাটি কামড়ে পড়ে চোখে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই আজ তিনি রেখা হতে পেরেছেন।

Comments are closed.