রাত পোহালেই ত্রিপুরায় পুরভোট, তৃণমূলের চাপে প্রতিটা বুথে থাকছে আধা সামরিক বাহিনী

রাত পোহালেই ত্রিপুরায় পুরভোট। সুপ্রিম কোর্টের চাপে প্রতিটা বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে। ত্রিপুরা সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে জানানো হয়েছে, ভোটের দিন বুথে বুথে সশস্ত্র পুলিশ কর্মী ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

ভোটের আগে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। বিনা নোটিশে গ্রেফতার করা হচ্ছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। তৃণমূলের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে পুরভোট করতে হবে ত্রিপুরায়। ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, দ্রুত সেই রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, ভোটের জন্য কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী ত্রিপুরায় মোতায়েন রয়েছে? বাইরে থেকে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা যেতে পারে কী? কোথায় কত রাজ্য পুলিশ মোতায়েন?

এরপরই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ত্রিপুরা সরকার। বৃহস্পতিবার ৬ টি নগর পঞ্চায়েত, ৭ টি মিউনিসিপাল কাউন্সিল ও আগরতলা পুরনিগমের ভোট। সব মিলিয়ে ৬৪৪টি পোলিং স্টেশন আছে। ৬৪৪টি বুথের মধ্যে ৩৭০টি বুথ স্পর্শকাতর। এই বুথগুলির প্রত্যেকটিতে ৪ জন করে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আগরতলার বুথগুলিতে অতিরিক্ত একজন অর্থাৎ ৫ জন করে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। ভোট শেষ হওয়ার পর স্ট্রংরুমকগুলিকেও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে। স্ট্রং রুমের পাহারায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শুধুমাত্র আগরতলা পুরনিগমের ভোটের জন্য অতিরিক্ত ১৫ কোম্পানি সিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে।

ত্রিপুরা পুলিশের এই উদ্যোগকে নিজেদের নৈতিক জয় বলে মনে করছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরেই ত্রিপুরা প্রশাসন এত তৎপর হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, “তৃণমূল এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের চাপে পুরভোটের নিরাপত্তা জানালো ত্রিপুরা প্রশাসন।

Comments are closed.