নিজেদের হাজার কাজের চাপেও নিজের সন্তানকে মানুষের মতন মানুষ করে চলেছেন এই দুই টলিউড অভিনেত্রী! তারকা মা কণীনিকা ও সুদীপ্তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা, সন্তানকে কতখানি সময় দিতে পারেন টলিপাড়ার তারকা মায়েরা

আমাদের সকলকে কমবেশি কথা শুনতে হয়েছে যে সন্তান মানুষ করতে গেলে নাকি বাইরের সমস্ত কাজ ত্যাগ করতে হবে তাহলেই সন্তান সঠিকভাবে মানুষ হবে সন্তানকে সময় নিলে তবেই সন্তান সঠিক চিনি শিখবে। কিন্তু এরকম অনেক মহিলাই আছেন যারা ঘর-সংসার সবটা সামলে নিজের সন্তানকে সঠিক পথে চালিত করেছেন আমাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম বেশ কয়েকজন উদাহরণ রয়েছে প্রথমেই আসে কনীনিকা বন্দোপাধ্যায় কথা।

টলিউড ইন্ডাস্ট্রি অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় পর্দা থেকে ছোট পর্দার সব জায়গাতেই নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। বর্তমানে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’ র সহচরীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। সকলের প্রিয় কনীনিকা। বর্তমানে কনীনিকার একটি ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে। কনীনিকা পেশা বোঝার জন্য তার সন্তানের বয়স খুবই ছোট। তাই সে মায়ের পেশার কথা কিছুই বুঝতে পারে না। অন্যদিকে মাকে ছেড়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনা। তাই উপায় না পেয়ে যখন মেয়ে ঘুমোয় তখন তাকে তার ঠাম্মার কাছে রেখে এসে কনীনিকা নিজের কাজের জায়গায় ফিরে আসেন। তবে ছুটি পেলেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান তিনি সময় দেন নিজের সন্তানকে।

রবিবার ছাড়াও আরও একটি দিন শুটিং বন্ধ রাখেন তিনি। শুধুমাত্র তার সন্তানের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে সবসময় বাড়িতে ছিল তাই সন্তানরা মায়েদের কাছে পেয়েছে বেশিরভাগ সময়টা বাড়িতে দেখে অভ্যস্ত তাদের তাই হঠাৎ করে কাজের চাপ পড়ে যাওয়ায় তিনি শুটিংয়ে বেরোতে হয় যার ফলে সন্তানের অভ্যাসে বদল ঘটেছে। কনীনিকার ছোট্ট মেয়ের নাম অন্তঃকরণা ওরফে কিয়া।

অন্য একজন হলেন বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। চলতি বছরেই সুদীপ্তা চক্রবর্তীর মেয়ে সাহিদা নীরা সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। লকডাউন এর সময় নিজের মেয়েকে নিয়ে ড্রয়িং, আবৃতি, যোগা ইত্যাদি করেছেন সুদীপ্তা আর সময় পেলে মেয়েকে নিয়ে পড়াশোনা করতে বসে যান তিনি।

লকডাউন এর পরও বাড়িতেই নিজের অভিনয় ওয়ার্কশপ খুলেছেন সুদীপ্তা। নিজের বাড়িতে অভিনয় প্রশিক্ষণ দেন তিনি। বেশিরভাগ সময়টাই সন্তানের সঙ্গে কাটে তার। দিনের পুরো সময়টাই নিজের মেয়েকে দেন সুদীপ্তা।

Comments are closed.