ভালোবাসায় গদগদ সিদ্ধার্থ-মিঠাই! বউ ও শাশুড়িকে কলকাতা ঘুরিয়ে দেখাল উচ্ছেবাবু, খুশি দাদাইও, সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল ভিডিও
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। শুরুর সময় থেকে একটানা মিঠাই টিআরপির দৌড়ে এক নম্বরে রয়েছে। সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছে এই ধারাবাহিক তাদের পছন্দের। ধারাবাহিকপ্রেমী অথচ মিঠাই দেখেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় সৌমিতৃষা কুন্ডু ও আদৃত রায়ের অভিনয় উল্লেখ করার মতো। সিদ্ধার্থ ও মিঠাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রী এক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন দর্শকমহলে।
বড়দিনের সময় থেকেই ধারাবাহিকের পর্দায় ছিল একের পর এক চমক। বছর শুরু হতেই সিদ্ধার্থের কান্ড দেখে খুশি মোদক পরিবারের সকলে। তাকে নিয়ে গর্বিত দাদাইও। ইদানিং মিঠাইয়ের একটু বেশিই খেয়াল রাখছে তার উচ্ছেবাবু। কয়েকদিন আগে মিঠাইকে নিয়ে নিজের কলেজের বন্ধুদের গেটটুগেদারে গিয়েছিল সিদ্ধার্থ। সেখানে গিয়ে মিঠাইয়ের নাচ দেখে সকলের সাথে সাথে অবাক হয়েছিল উচ্ছেবাবুও। সেখান থেকে ফেরার সময় সিদ্ধার্থ বড়দিনের আলো দেখিয়েছিল মিঠাইকে। অবশ্য হল্লাপার্টি একথা জেনে যায় পরেরদিনই। একথা শুনে খুশি ছিল সকলেই।
পরে একথা দাদাই জেনে খুশি হয়ে যান। রাতুলও শ্রীকে নিয়ে বড়দিনের আলো দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল একথা নিপা বলে দেয় দাদাইয়ের সামনে। দুই নাতি নাতনীর বিবাহিত জীবন ধীরে ধীরে সুখের হচ্ছে একথা জানতে পেরে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হন সকলের প্রিয় দাদাই। এই সবকিছুর মধ্যে সিদ্ধার্থ আরো এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছিল।-
বড়দিনের আলো দেখার সময় মিঠাই উচ্ছেবাবুকে বলেছিল সে তার মা ও ভাইকে খুব মিস করছে। সেই কথা শুনে সিদ্ধার্থ পরেরদিনই জনাইতে গিয়ে মিঠাইকে সারপ্রাইজ দেবে বলে তার মা ও ভাই গুলতিকে নিয়ে আসে। নিজের মা ও ভাইকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি হয় মিঠাই তা তার কথাতেই স্পষ্ট ছিল। পরেরদিন মিঠাই ও তার মা-ভাইকে গোটা কলকাতা শহর ঘুরিয়ে দেখায় সিদ্ধার্থ। এমনকি হোটেলে নিয়ে গিয়ে খাওয়ারও খাওয়ায় সে। এই পুরো বিষয়টায় এক্কেবারে হেপ্পি হয়ে গিয়েছে মিঠাই। শাশুড়িও জামাইয়ের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ, তা তিনি নিজেই জানিয়েছেন দাদাইকে। সিদ্ধার্থের এই কান্ড দেখে গর্বে বুক ফুলে গেছে তার দাদাইয়ের। এরপরএই সিদ্ধার্থ জানায়, সে ভেবেছিল বড় হয়ে মাকে অনেক আনন্দ দেবে, কিন্তু সে সুযোগ তার মা তাকে দেয়নি। তাই এইভাবেই সে নিজের খুশি খুঁজে নিয়েছে। আর এই কথা শুনে বেজায় খুশি হয় মিঠাইও।
বলাই বাহুল্য, ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী ধীরে ধীরে কাছে আসছে সিদ্ধার্থ ও মিঠাই। একে অপরকে বুঝতে শুরু করেছে তারা। মিঠাইতো তার উচ্ছেবাবুকে নিয়ে বেজায় খুশি। তবে মিঠাইয়ের প্রতি নিজের ভালোবাসাটা এখনও বুঝতে পারেনি সিদ্ধার্থ। তবে খুব শীঘ্রই সে সেটা বুঝতে পারবে আশা রাখছেন দর্শকরাও। ধারাবাহিকের পর্দায় মিঠাই-সিদ্ধার্থের মিলন পর্ব দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই।
Comments are closed.