টিনটিনের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে বাস্তবে পৌঁছে গিয়েছেন ‘কমিক্সের ছবির’দেশে; সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নেলউইন’র অভিনব ‘অভিযান’
টিনটিন পড়েননি, এমন পড়ুয়া প্রায় নেই বললেই চলে। সেই ১৯২৯ সাল থেকে পথ চলা শুরু করে এখনও পাঠক মহলে একই ভাবে জনপ্রিয় এই ‘ক্ষুদে সাংবাদিক’। সব সময়ের সঙ্গী কুট্টুস ও বাকিদের নিয়ে টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চারের গল্প পড়তে পড়তে কল্পনায় নানান দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছি আমরা সকলে। প্রত্যেক পাঠকই টিনটিন পড়ার সময় অত্যন্ত একবার হলেও ভেবেছেন, যদি সত্যি সত্যি জায়গাগুলোতে যাওয়া যেত? এমনই ভাবনা থেকে অবাককরা কান্ড ঘটিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এক ব্যক্তি।
নেলউইন অলড্রিয়ানসিয়াহ নামে ওই টিনটিন ভক্ত কমিক্সের বর্ণিত প্রায় সবকটি জায়গা ঘুরে দেখেছেন। শুধু তাই নয়,কমিক্সের ছবিতে যে জায়গা দেখানো হয়েছে, ঠিক সেই জায়গায় গিয়ে ছবি তুলেছেন এবং কমিক্সের ছবির সঙ্গে নিজের ছবির কোলাজ করে নেট মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। নেলউনের এই অভিনব ‘অভিযান’ ইতিমধ্যেই নেট পাড়ায় তমূল জনপ্রিয়। বিশেষ করে টিনটিন ভক্তদের কাছে।
নেলইউনের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে কাজ করেছেন। পায়ের তলায় সর্ষে বলতে যা বোঝায়, এই টিনটিন ভক্ত তাই। ইতিমধ্যেই পৃথিবীর একাধিক দেশ ঘুরেছেন তিনি। এই ঘুরতে ঘুরতেই একদিন ঠিক করেন, ছোটবেলার কল্পনার ভ্রমণকে বাস্তবে রূপ দেবেন। আর সেই লক্ষ্যেই টিনটিন কমিক্সে উল্লেখিত জায়গাগুলিতে পাড়ি দেন। নিজের এই ‘অভিযানের’ নামও দিয়েছেন, ‘দ্য এডভেঞ্চার অফ নেলউন’।
উল্লেখ্য, টিনটিনকে নিয়ে মোট ২৪টা অ্যাডভেঞ্চারের গল্প লিখেছিলেন বেলজিয়ামের কার্টুনিস্ট হার্জ। যাঁর আসল নাম জর্জেস রোমি। পাঠকদের কাছে শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত খুবই জনপ্রিয় প্রত্যেকটি গল্প। প্রত্যেকটি গল্পের প্রাণবন্ততাই টিনটিনের সাফল্যের আসল কারণ।
Comments are closed.