‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’। এই কথাই সত্যি কলকাতার বউবাজার। ছাই থেকে পাচ্ছেন সোনা। বউবাজারের সোনা পট্টিতে সকাল সকাল গেলে দেখা মেলে নিহারীদের।
ছাই থেকে শোনা পাওয়ার আশায় লোহার ঝাঁটা ব্রাশ নিয়ে সোনা কারিগরদের দোকানের বাইরে দেখা যায় তাঁদের। সোনার দোকানের ধুলো কুড়িয়ে তা ধুয়ে সোনা বের করে বিক্রি করেন তাঁরা। সেই সোনা চোখে দেখা যায়না। সোনার গুঁড়ো ধুলোর সঙ্গে মিশে যায়। আর সেই ধুলো কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন নিহারীরা।
আবার অনেক দোকানদার ধুলো বিক্রি করেন। আর সেই ধুলো কেনেন নিহারীরা।
দোকানদাররা জানিয়েছেন, কাজ করার সময় সোনার গুঁড়ো মাটিতে পড়ে যায়। স্বভাবতই তা চোখে দেখা যায়না। কিন্তু দোকান ঝাঁড় দিয়ে পরিষ্কার করার সময় তা মিশে যায় ধুলোর সঙ্গে।
নিহারীরা জানিয়েছেন, এই ধুলোকে ঘন্টা দুয়েক জলের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখা হয়। ভিজিয়ে রাখার সময় সোনা ভেসে ওঠে জলের ওপরে। এরপর অ্যাসিড দিয়ে আরেকবার পরিশোধিত করে সোনার গুড়ো আলাদা করা হয়। এতে প্রতিদিন আয় হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। লকডাউনে কাজ হারিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন সব দোকান খুলে যাওয়ায় আবার আগের ছন্দে ফিরেছেন নিহারীরা।
Comments are closed.