বগটুইয় গ্রামে দাঁড়িয়ে নারকীয় ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার কিছু ঘন্টা পরেই রামপুরহাট থানার আইসিতে সাসপেন্ড করল প্রশাসন। এই ঘটনায় আগেই আইসি এবং রামপুরহাটের এসডিপিওকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বগটুই অগ্নীকান্ডে আইসির ভূমিকা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছিল। নিহতদের পরিবার একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার দিন রাতে বার বার পুলিশকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বৃহস্পতিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রীও সাফ জানান, সেদিন ঠিক সময়ে পুলিশ এলে হয়তো এই হত্যাকান্ড ঘটত না। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের গঠিত সিট্ তদন্তভার হাতে নিয়ে রামপুরহাট থানার আইসির ভূমিকা খতিয়ে দেখেন। আর বৃহস্পতিবার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উল্লেখ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পরেই এদিন ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আমারুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারাপীঠ থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমারুলকে রামপুরহাট থানায় নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাঁকে সিটের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
Comments are closed.