দুর্যোগ কাটিয়ে ফের শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। সোমবার চার হাজার পূণ্যার্থীর একটি দল রওনা দিয়েছেন অমরনাথের উদ্দেশ্যে। এরআগে ৮ জুলাই অমরনাথের পবিত্র গুহা মন্দিরের কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয় নেমে আসে। মৃত্যু হয় অনেকের। নিখোঁজ হন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রা। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে ফের শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা।
তীর্থযাত্রীরা দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ৩,৮৮০ মিটার উঁচু গুহা মন্দিরের বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ১১০ টি গাড়ির একটি কনভয়ে এবং সিআরপিএফের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রওনা হয়েছেন পূণ্যার্থীদের দল। পহেলগামের দিকে নুনওয়ান বেস ক্যাম্প থেকে তীর্থযাত্রীদের যে দল রওনা দিয়েছেন, মঙ্গলবার পবিত্র গুহায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁদের। বিপর্যয়ের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পবিত্র গুহার বাইরে একটি অস্থায়ী সিঁড়ি তৈরি করেছে। শুক্রবার মেঘ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে গুহা মন্দিরের দিকে যাওয়ার রাস্তাটিতে ধস নামে। ফলে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে বারুইপুরের মুহুরি পরিবারের ৭ জনের দলটি অমরনাথে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ওপর থেকে নেমে আসে বড় বড় পাথর। সেই পাথর গড়িয়ে আসায় মাকে বাঁচাতে বারুইপুরের বাসিন্দা ২২ বছরের ওই তরুণী। কিন্তু জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। রবিবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় ওই পরিবারের সদস্যরা। অপরদিকে সোদপুরের এক পরিবারের কয়েকজন সদস্যও অমরনাথে গিয়েছিলেন। বিপর্যয়ের পর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না উত্তর নাটাগড়ের বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী নারায়ণচন্দ্র দে, স্ত্রী রুমা ও ছেলে সাগরের। সোমবার সকাল পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি ওই তিনজনের সঙ্গে। অবশেষে আসে স্বস্তির খবর। অমরনাথ-বিপর্যয়ের তিনদিন পর, সন্ধান মিলল সোদপুরের উত্তর নাটাগড়ের বাসিন্দা বাবা, মা ও ছেলের।
Comments are closed.