কাঁচা বাদাম পাকা বাদাম গান নয়, গানের জন্য দরকার আসল শিক্ষা, ভাইরাল সংষ্কৃতি নিয়ে মা বললেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী
বর্তমান প্রজন্মের মানুষের জীবনযাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মিডিয়ার দৌলতে প্রতিদিন বহু ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও গুলির মধ্যে থাকে, নাচ গান আঁকা, রান্না, হাস্যকৌতুকের ভিডিও। এই সোশ্যাল মিডিয়ার, মাধ্যমে বহু প্রতিভাবান মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে। লকডাউনের সময় মানুষ যখন ঘরবন্দী ছিল তখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভাকে তুলে ধরত। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর। এবার ভাইরাল সংস্কৃতি নিয়ে মুখ খুললেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
বীরভূম জেলার ভুবন বাদ্যকর নামে এক ব্যক্তি কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন তার স্বরচিত গান গেয়ে। হঠাৎই একদিন একজন এই বাদাম কাকুর গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন তারপর থেকেই ভুবন বদ্যকর একজন সেলিব্রিটিতে পরিণত হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি গানের জন্য ডাক পান। তার গান রিলিজ হয়েছে। এবার আসল গান এবং ভাইরাল তথাকথিত গানের পার্থক্য নিয়ে মুখ খুললেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pandit Ajay Chakraborty)।
পন্ডিতল অজয় চক্রবর্তী বলেছেন যে যে সমস্ত প্রতিযোগিতা রিয়েলিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেন তারা সকলেই প্রতিভাবান। কিন্তু বিশেষ কিছু জিনিস না শেখার জন্য তারা হঠাৎ করেই হারিয়ে যান। এর আগে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে কোন রিয়েলিটি শোয়ে বিচারকের আসনে দেখা যায়নি। জি সারেগামাপার ধরণটা অন্য রকম হওয়ায় তিনি থাকতে রাজি হয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে পণ্ডিতজি প্রতিক্রিয়া দেন বর্তমান সময়ের ভাইরাল গান নিয়েও।
পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মতে মনের চোখ দিয়ে ছবি আঁকার নামই হল গান। কাব্য সবাই লিখতে পারে। কিন্তু সকলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে যায় না। ঠিক তেমনই কোনো কিছু না শিখে করতে গেলে কিছু সময়ের জন্য সেই জিনিসটা ভালো শুনতে লাগলেও তা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
পণ্ডিতজি জানিয়েছেন, “এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অনেকেই টাকা দিয়ে গানের প্রচার করেন। তাই এখন এমন একটা ধারণা হয়েছে যার টাকা আছে সে ভাল ভাল গাইয়ে আর টাকা না থাকলে গান জানে না। কিন্তু এটা তো বাস্তব নয়। এখন কাঁচা বাদাম পাকা বাদাম সব গান হয়েছে। আমি খারাপ বলছি না। কিন্তু সেগুলো কি আমাদের জীবনে নতুন কোনো ছবি নিয়ে আসতে পারছে? সেটার জন্য কাব্য দরকার, সুরশুদ্ধি এবং লয়ের দরকার। আর সবার উপরে দরকার মনুষ্যত্ব”।
Comments are closed.