“একজন ন্যাশনাল সেলিব্রিটি হয়েও সময় বার করে প্রতি মাসে নিজের স্কুলে পৌঁছে যান অরিজিৎ এবং তাঁর অর্থেই শুরু হয়েছে স্কুলের নানান প্রকল্প” – জাতীয় স্তরে প্রশংসিত সুপারস্টার গায়ক অরিজিৎ সিং এর ব্যক্তিত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া

বর্তমান সময়ে গোটা ভারতের সংগীত জগতের অন্যতম একজন নক্ষত্র হলেন অরিজিৎ সিং। শুধু বাংলা নয়, সর্বভারতীয় স্তরে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এই গায়ক। নিজের সুরের মাধ্যমে মন জয় করেছেন গোটা ভারতের। তবেই গায়ককে নিয়ে যে শুধু তাঁর গানের প্রশংসা হয় তেমন কিন্তু নয়। গায়কের বাস্তব জীবনের ব্যক্তিত্ব নিয়ে বেশ প্রশংসা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ এর একটি সাধারণ ছেলে নিজেকে এত উঁচুতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পরেও একদম সাধারন জীবন যাপন করেন তিনি। এই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁর গানের সাথে সাথে ব্যক্তিত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন দর্শক মহল।

বাংলার ছেলে এখন দেশের সেলিব্রেটি হওয়ার পরেও বাংলার ছেলে হিসেবেই রয়েছেন। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ এ এখনও তিনি বসবাস করেন। সেখানে মাঝেমধ্যেই গায়ককে দেখতে পাওয়া যায় একটি সাধারণ স্কুটি নিয়ে যাতায়াত করতে। এমনকি তিনি তাঁর ছেলেকে বহরমপুরের একটি স্কুলেও স্কুটি করেই দিয়ে আসেন এবং নিয়ে আসেন। একদম সাধারণ সাদামাটা জীবন যাপন করেন গায়ক। তাই গায়কের এই ব্যক্তিত্বেই যেন মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতা।

গায়কের এই সাদামাটা ব্যক্তিত্ব আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে উঠেছে। নিজের স্ট্রাগলের দিনে যেমন সাদামাটা ছিলেন এখন উজ্জ্বল তারকা হওয়ার পরেও ঠিকটা ততটাই সাদামাটা রয়েছেন অরিজিৎ। সম্প্রতি তিনি তাঁর আরো একটি মহৎ কাজের জন্য সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিং বিদ্যামন্দির স্কুলে পড়াশোনা করেছেন অরিজিৎ। সম্প্রতি সেই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন গায়ক।

কিছুদিন আগে সেই স্কুলে গিয়েছিলেন কিছু পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে। সেখানেই নিজেদের স্কুলের প্রাক্তনী তথা বর্তমানের সর্বভারতীয় জনপ্রিয় গায়ককে কাছে পেয়ে সেলফি তোলার আবদার করেছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। যদিও গায়ক প্রচার বিমুখ হলেও সকলের আবদার মেনে সকলের সাথেই ছবি তুলেছেন তিনি। আর সকলের সাথেই আনন্দের মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যিনি এই ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “একজন ন্যাশনাল সেলিব্রিটি হয়েও সময় বার করে প্রতি মাসে নিজের স্কুলে পৌঁছে যান অরিজিৎ। এবং তাঁর অর্থেই শুরু হয়েছে স্কুলের নানান প্রকল্প”।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Arijit Singh (@arijitsingh)

Comments are closed.