আগেই ডুবেছিল লালকেল্লা সংলগ্ন কাশ্মীর গেট এলাকা, রিং রোড। এবার তাজমহলের পেছনের দেওয়াল ছুঁয়ে ফেলল যমুনার জল। গত ৪৫ বছরে এমন বন্যা দেখেনি দিল্লিবাসী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও তাজমহলের বেসমেন্টে জল ঢুকতে পারেনি। তবে তাজ সংলগ্ন রাস্তা, মধুরার একাধিক জনবসতি বন্যার জলে প্লাবিত।
এর আগে ১৯৭৮ সালে এমন বন্যার সাক্ষী থেকেছিল দিল্লিবাসী। সেই বন্যা নিয়ে এখনও চর্চা হয়। তবে জানা গিয়েছে, এবার যমুনার জল বিপদসীমা তো পেরিয়েছেই। একই সঙ্গে ১৯৭৮ এর জলস্তরের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। যার জেরে এখন একটাই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে, তাহলে কি এবারে তাজের ভেতরেও যমুনার জল ঢুকে পড়বে।
যদিও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের দাবি, সেই সময়ে তাজমহলের নকশা এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছিল, বন্যা যতই ভয়ঙ্কর হোক, জল তাজের ভেতরে ঢুকবে না। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এখন সেটাই দেখার।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ টি গ্রামের মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা এবং পুলিশকে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে চরম দুর্ভোগে দিল্লির সাধারণ মানুষ।
Comments are closed.