ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে রাজ্যে। প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিতকরণ, অন্যান্য কাজ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের তরফে এবার জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। সেই জমি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এলাকায় ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট তৈরির জন্য জমি কেনার তোড়জোড় শুরু হতেই ইলিশ আমদানির আশায় ব্যবসায়ী থেকে জেলার মানুষজন। এবার থেকে উত্তরবঙ্গ দিয়েও আমদানি হবে পদ্মার ইলিশ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী হিলিতে রয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। সেখান দিয়ে দু’দেশের মানুষের যাতায়াত, যোগাযোগ হয়। ওই চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে পাথর, পেঁয়াজ, লঙ্কা, চিনি, জিরা, মশলা-সহ অসংখ্য সামগ্রী বাংলাদেশে রপ্তানি করেন এদেশের আন্তর্জাতিক পণ্য ব্যবসায়ীরা। দু-একটি জিনিস আমদানি করা হয় বাংলাদেশ থেকে। কিন্ত এই চেকপোস্টের দিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ আমদানি হয় না। কারণ, এক্ষেত্রে প্রয়োজন মাছ পরীক্ষার ল্যাবরেটরি। হিলি সীমান্তে ফাইটোস্যানেটারি নামে মাছ পরীক্ষার ওই বিশেষ ল্যাবরেটরি না থাকার কারণে ইলিশ মাছ আমদানি করতে পারেন না আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা। ফলে এত কাছে থাকা বাংলাদেশের ইলিশ থেকে বঞ্চিত হতে হয় জেলা তথা উত্তবঙ্গের মানুষকে।
এদিকে হিলি চেকপোস্টকে ইন্টিগ্রেটেড ল্যান্ডপোর্ট বা স্থলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার দাবি ছিল অনেক দিনের। এনিয়ে আন্দলোনে নেমেছিল স্থানীয় আন্তর্জাতিক আমদানি রপ্তানিকারীরা দুই দেশে যাতায়াতকারী নাগরিক এবং আমদানি রপ্তানির স্বার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। মাস দুয়েক আগে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের জন্য ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে কেন্দ্রে তরফে। তবে জমির জন্য রাজ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন। মোট ২৫ একর জমি ক্রয় করে দেওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পে। অবশেষে ইলিশ আমদানি হওয়ার আশায় জেলাবাসী।
Comments are closed.