উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে জট কাটল আট বছর পর, নিয়োগ হতে চলেছে ১৪ হাজারের বেশি

আট বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জট কাটল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ পেতে চলেছেন ১৪ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে জানিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। চার সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। তার চার সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে নিয়োগপত্র।

রায় ঘোষণা করতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চাকরি প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এবং উভয় দিকে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় সিলমোহর পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগের জন্য বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া।

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সেই মতো ওই বছরই স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট আয়োজিত হয়। মোট ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৭৮ জন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষায় বসেন। তিন বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ অগাস্ট এসএসসির তরফে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই বছরের ৪ অক্টোবর প্রকাশিত হয় মেরিট লিস্ট। তারপরই একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে প্রচুর মামলা দায়ের হয়।

যাবতীয় অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য। মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে প্রায় তিন বছর মামলার শুনানি চলার পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ সংশোধন করে ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত তখন জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা হলেও কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। পরে বিচারপতিদের বিচারক্ষেত্র পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটি আসে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। ১৮ জুলাই  মামলার শুনানি শেষ হয়। বুধবার সেই রায় ঘোষণা করে বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এসএসসির তরফে ১,৪৬৩ জন প্রার্থীকে যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই মোট ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদের মধ্যে ১৪,০৫২টি পদের জন্য চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

Comments are closed.