জল ধারণ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে, অভিযোগ রাজ্যের

দক্ষিণবঙ্গের ভয়াবহ বন্যার জন্য ডিভিসিকে ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বন্যা ম্যান মেড বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার তথ্য-পরিসংখ্যান সহ মুখ্যমন্ত্রী ফের চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, ডিভিসির মা‌ইথন ও পাঞ্চেত বাঁধের ধারণ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। এই দুই বাঁধের জলস্তর ‘ম্যাক্সিমাম ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট লেভেল’-এ পৌঁছনোর আগেই জল ছাড়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মতামত নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কিছুটা জল আরও কিছুক্ষণ বাঁধে ধরে রাখা হলে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা এতটা ভয়াবহ হতে পারত না।

দীর্ঘক্ষণ ধরে যেভাবে রেকর্ড আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ২০২১ সালের আগস্টে পাঞ্চেত বাঁধে সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতার (৪২৫ ফুট) থেকে বেশি জল (৪৩০.৬১ ফুট) ছিল। এবার পাঞ্চেতে সেই তুলনায় কম জল ছিল। এনিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন রাতেই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক জবাবী চিঠি দিয়ে জল ছাড়ার কারণ ব্যাখা করে। সেই সঙ্গে দাবি করে, রাজ্য সরকারে মতামত নিয়েই জল ছাড়া হয়েছে।

কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের এই আবহে শনিবার ডিভিসির পরিচালন বোর্ডের সদস্যপদ ছাড়ার জন্য ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের সচিব। দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। এদিকে, ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ রবিবারও ছিল ৫০ হাজার কিউসেক। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় সম পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে। এখনও হুগলির খানাকুলের দু’টি ব্লক, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুর সহ অনেক জায়গায় এখনও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন।

Comments are closed.