শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা। যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নবান্ন সূত্রেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। বিপদের আশঙ্কায় পর্যটনের ভরা মরশুমে ‘ডানা’র আগেই দিঘা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের। তাতে ব্যবসার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ কেটে গেলে দ্রুত তা পুনর্গঠনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় আজও খুব বৃষ্টি হবে। কাঁথি, রামনগরেও হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে হবে। আর যা যা ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত মেরামত করে ফেলতে হবে। দিঘায় অনেক পর্যটক যাবে। তাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হবে।
উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন ডানা ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জাতীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল রয়েছে। তারাই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় একেবারে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল দিঘা সৈকত। পুজোর ছুটিতে যাঁরা দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁরা কিছুটা হতাশ। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দিঘার মতো উপকূলীয় এলাকা বার বারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব এলাকা পুনর্গঠনে ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে তোলার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
‘ডানা’র পরও তিনি একই পরামর্শ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে। শুক্রবার নবান্ন থেকে ভারচুয়াল বৈঠকে জেলাশাসককে বলেন, ”দুর্যোগের সময় ঘন ঘন আপডেট দিয়েছে প্রশাসন, আমি জেলার পরিস্থিতি সবটাই জানি। প্রশাসনের সব স্তরের অফিসারদের নিয়ে বিপদ মোকাবিলায় যা প্রয়োজন, করবেন। ম্যানগ্রোভ ভালো করে লাগাতে হবে ওখানে। আর দিঘার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুর্যোগ চলতে পারে।
Comments are closed.