অবশেষে প্রাথমিক, উচ্চ-প্রাথমিক, পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জট কাটল। প্রাথমিকের টেটে ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। উচ্চ-প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ আটকাতে শীর্ষ আদালতে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, সেটিও খারিজ করে দিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ।
শুক্রবার শুনানির পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বারবার বাধা আসছে। তবে আর নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকাব না। ফলে সরকার এবং সরকার-পোষিত স্কুলে ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি জন্য ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে কোনও বাধা থাকল না।
২০১৬ সালের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেয় পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন। মেরিট লিস্ট প্রকাশ হয়ে যায়। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টও। কিন্তু সেটি আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে চলে আসে মেরিট লিস্টে নাম না থাকা কয়েকজন। হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, নিয়মে ভুল হচ্ছে ইত্যাদি দাবি করে নিয়োগ রুখতে চান আবেদনকারীদের আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান।
Tটেট-উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায়রা পাল্টা হাতিয়ার করেছিলেন হাইকোর্টের নির্দেশকেই। ঘটনাচক্রে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এব্যাপারে একটি নির্দেশ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও মেরিট লিস্টে নাম না থাকা বেশ কয়েকজন আবেদনকারী মামলা করেন শীর্ষ আদালতে। তা দেখেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ফের কেন ওই মামলা নিয়ে এসেছেন? নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।
Comments are closed.