ট্যাবের টাকা নিয়ে অনিয়মের জাল শুধু বাংলার কয়েকটি জেলা নয়, ছড়িয়েছে ভিন রাজ্যেও। একের পর এক অভিযোগের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর সূত্র হাতে আসছে পুলিসের। পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ বা উত্তর দিনাজপুরে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে অনুপ্রবেশ ঘটেছে সাইবার জালিয়াতদের।
ইতিমধ্যেই মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস। ধৃতদের মধ্যে তিনজন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বাসিন্দা। অন্যজন মালদহের বৈষ্ণবনগরের। রাজ্যজুড়ে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, ধৃতরা ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে ‘অ্যাকসেস’ নিয়ে নিজেদের লোকজনদের নম্বর ঢুকিয়ে দিয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতেই এসেছে টাকা। টাকা গিয়েছে বিহারের কিষানগঞ্জের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও।
পুলিস জানাচ্ছে, মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ধৃত কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারী হাসেম আলি এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকজন প্রতারককেও পুলিস খুঁজছে। প্রতারকরা কীভাবে সরকারি পোর্টালের অ্যাকসেস পেল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিস জানতে পেরেছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পড়ুয়াদের টাকা ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকরা জুলাই মাসে ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টালে’ অ্যাকসেস নেয়।
Comments are closed.