হাই-ভোল্টেজ নির্বাচনী যুদ্ধের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনজিরভাবে তীব্র বিতণ্ডায় জড়ালেন কবীর সুমন ও বাবুল সুপ্রিয়।
দু’জনেই গায়ক। তবে পার্থক্য দু’জনের রাজনৈতিক অবস্থানে। একজন বিদায়ী সাংসদ তথা এবার আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, অন্যজন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ এবং নিজেকে মমতাপন্থী বলেই পরিচয় দেন।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। কবীর সুমন নিজের ফেসবুক পেজের পোস্টে দাবি করেন, তাঁর একটি গান শুনে বিজেপি সাংসদ ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয় তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান। বাবুল তাঁকে কটাক্ষ করে একাধিক বার্তায় লেখেন, ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন তাঁর ‘মন’ হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁর লেখাকে বিদ্বেষমূলক বলে মন্তব্য করেন বাবুল সুপ্রিয়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ কবীর সুমন তাঁর কবিত্ব খুইয়েছেন বলেও খোঁচা দেন তাঁকে।
অন্যদিকে, কবীর সুমনের পাল্টা কটাক্ষ, বাবুল সুপ্রিয় যে দলের সাংসদ সেই দলই ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করছে।
কবীর সুমন তাঁর ফেসবুক পেজে দুই তরফের দীর্ঘ কথা চালাচালি তুলে ধরেন এবং তাঁর কবি ও গায়ক সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য বিজেপির গায়ক সাংসদ বাবুলকে রাজনৈতিক গানের ‘ডুয়েল’এ নামার আহ্বান জানান।
সুমনের পোস্ট অনুযায়ী, বাবুল তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে একের পর এক মেসেজ পাঠালেও গানের ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ নিতে রাজি হননি, বরং সুমন মূল আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। অবশেষে গানে নয়, বিতর্ক সভায় কবীর সুমনকে আহ্বান জানান বাবুল সুপ্রিয়।
শেষ পর্যন্ত দু’জনের বিতণ্ডা এমন জায়গায় গড়ায় যে বাবুল সুপ্রিয় তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, কবীর সুমনের মন ও মনুষ্যত্ব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁকে নিয়ে সময় নষ্ট না করে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকে কবীর সুমনকে ব্লক করছেন। কবীর সুমনও বাবুলের সুস্থতা কামনা করে বিতর্কের ইতি টানেন।
দুই গায়কের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নেটিজেনরাও দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ পক্ষ নিয়েছেন কবীর সুমনের, কেউ আবার বাবুল সুপ্রিয়র। দু’জনের ফেসবুক পোস্টেই ‘লাইক’,’শেয়ার’ চলছে সমানতালে।
Comments are closed.