নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে হাজির হতে অস্বীকার করলেন অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। তিনজনের প্যানেলে একজন সহমত পোষন না করলে, তাঁর মতামত সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত হয়। অশোক লাভাসার অভিযোগ, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ফয়সালা করতে বসে বারবার তিনি নিজের অসহমতির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কমিশনের আইনে সংখ্যালঘুর মত নথিভুক্ত করার সংস্থান নেই। ফলে একজন বাকি দু’জনের মতের সঙ্গে সহমত না হলে, তাঁর মত নথিভুক্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে পাঠানো চিঠিতে অশোক লাভাসা লিখেছেন, বৈঠকে অংশ নেওয়ার কোনও অর্থ হয় না, বরং আমি এবিষয়ে অন্য কোনও উপায় আছে কিনা, তা দেখার চেষ্টা করি। কমিশনে অভিযোগ দায়ের হলে, বিধিভঙ্গ হয়েছে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নেন, কমিশনের ৩ কর্তা, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এবং ২ নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং অশোক লাভাসা।
নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এবারের ভোট মরসুমে মোট ৬ টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সবকটি ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের অসহমতির কথা জানিয়ে ছিলেন অশোক লাভাসা। কিন্তু অসহমতি নথিভুক্তির কোনও সংস্থান আইনে নেই। এরপরেই কমিশনের বৈঠকে হাজির হতে আপত্তি জানান লাভাসা। তাঁর বক্তব্য, আপত্তি নথিভুক্তির সংস্থান না থাকলে কী লাভ বৈঠকে হাজির থেকে? ৪ ঠা মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে লেখা চিঠিতে লাভাসার দাবি, সংখ্যালঘুর মতামত রেকর্ড করার সংস্থান না থাকায়, আমাকে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তাই নিজের বক্তব্য নথিভুক্ত করাতে না পারলে বৈঠকে হাজির হওয়ার কোনও অর্থ হয় না, বলে মনে করছি। এই চিঠি পাওয়ার পরই অশোক লাভাসার সঙ্গে বৈঠক করেন সুনীল অরোরা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ করছে বিরোধীরা। শনিবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, কমিশনকে হাতের পুতুল বানিয়েছে মোদী সরকার।
Comments are closed.