প্রশ্ন উঠল শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই, মানব সম্পদে ফের বিতর্ক, জন্ম তারিখেও গরমিলের অভিযোগ
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। প্রথম মোদী সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। এবার সেই মন্ত্রকের ভার পেয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিষঙ্ক। ঘটনাচক্রে এবার তাঁর ডিগ্রি নিয়েও অভিযোগ উঠে গেল। শুধু তাই নয়, মন্ত্রীর জন্ম তারিখ নিয়েও দু’জায়গায় দু’রকম তথ্য দেওয়ার অভিযোগ।
নিজের নামের আগে ডক্টর উপাধি বসাতে ভালোবাসেন নতুন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিষঙ্ক। ৯০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ওআইইউ) সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে ডিলিট প্রদান করে। কয়েক বছর বাদে ফের একই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য আরেকটি ডিলিট প্রদান করে। যদিও ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নামে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থাকার কথা অস্বীকার করেছে শ্রীলঙ্কার ইউজিসি। এই নামে কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে মান্যতা চেয়ে আবেদনও করেনি বলে জানা গিয়েছে। গত বছর নিষঙ্কের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে দায়ের করা আরটিআই-এর উত্তর অসম্পূর্ণ বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, সদ্য নিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রীর জন্ম তারিখ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। রমেশ পোখরিয়ালের বায়োডেটাতে নিজের জন্ম তারিখ লিখেছেন, ১৫ ই অগাস্ট ১৯৫৯ অথচ পাসপোর্টে জন্ম তারিখ হিসেব উল্লেখ রয়েছে ১৫ ই জুলাই ১৯৫৯। উত্তরাখণ্ডের সরকারি ওয়েবসাইটেও এই পার্থক্য বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়েছে। যদিও মন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিতর্ক বাড়ছে বুঝে শনিবার এনিয়ে বিবৃতি দেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিষঙ্ক। সেখানে তিনি দাবি করেন, হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে তাঁর জন্মের তারিখ ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মেলে না। তাই এই বিভ্রান্তি।
আগেরবার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। তারপর রহস্যজনকভাবে তা উধাও হয়ে যায়। এবার ফের এক মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। কাকতালীয়ভাবে এবারও কাঠগড়ায় সেই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকই।
Comments are closed.