দূর্গা পুজোর হেরিটেজ তকমা সঙ্গে ট্রামের ১৫০ বছর পূর্তি; উদযাপনে শহরের রাস্তায় বিশেষ ট্রাম 

শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর মরশুম। আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ। হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন, তারপরেই বাঙালির প্রিয় উৎসব। ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে দুর্গাপুজো। এদিকে ১৫০ বছরে পা দিয়েছে কলকাতার ট্রাম। আর এই দুই বিশেষ ঘটনাকেই উদযাপন করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন। এশিয়ান পেন্টস এবং এক্সএক্সএল কালেক্টিভ-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ট্রামকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। উৎসবের মরশুমে যেটি চলবে টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। 

পুজোর এই বিশেষ ট্রামটির সাজসজ্জার মধ্যেও থাকছে বাঙালির পুজোর ছোঁয়া। ট্রামের বাইরের দিকটিতে থাকছে পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সিঁদুর খেলা থেকে শুরু করে ধুনুচি নাচ, শরতের কাশ ফুল। সেই সঙ্গে থাকছে মহিলা ঢাকির চিত্র। অন্য বগির বাইরেটাও থাকছে বাংলার একাধিক বিশেষত্ব। এবং পুরোটাই কুমোরটুলীর শিল্পদের দ্বারা হাতে আঁকা। 

Oiট্রামের অন্দর সজ্জায়ও থাকছে অভিনবত্ব। ট্রামের একটি কামরার অন্দর সাজে ব্যবহার করা হয়েছে আল্পনা। অন্য কামরাটিকেও মিউজিয়ামের ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যা ট্রাম যাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। পাশপাশি প্রতিটি কামরার ভিতরে কিউআর কোড থাকছে। যা স্ক্যান করলেই যাত্রীরা পুজোর হরেকরকম গল্প পড়ে ফেলতে পারবেন। সব মিলিয়ে দুর্গা পুজো এবং ট্রামের নস্টালজিয়া মিলেমিশে এক অভিনব অভিজ্ঞতার শরিক হবেন যাত্রীরা। 

WBTC চেয়ারম্যান মদন মিত্র জানিয়েছেন, শহরের পুজো এবং ঐতিহ্যকে উদযাপন করতেই এই বিশেষ উদ্যোগ। কাজটির সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিশেষ ট্রাম যাত্রার শুভ সূচনা করা হয়। যেখানে মদন মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন WBTC-MD রাজনভির সিং কাপুর, এশিয়ান পেইন্টস-এর সিও অমিত সন্যাল অভিনেতা আবির চ্যাটার্জি এবং সহিনী সরকার। 

Comments are closed.